বিপ্লবী হে শোন!
আমি তোমার চোখের মায়ায় পড়েছি,
ঠিক যতটা মায়ায় পড়লে কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে
ওই চোখ জোড়াই খুঁজে বেড়ানো যায়।

কেননা নারী সাহাবি সুমাইয়া রাযি.-
আবু জাহালের বর্শার আঘাতের পর
সাহাবি আমমার ইবনে ইয়াসিরের দিকে
যে বিরহ- বেদনা- এবং জান্নাত দেখে দেখে
আনন্দ চাহনি দিয়েছিলেন;
সে চাহনি তোমার চোখে দেখে

আমি ঠিক ততটা মায়ায় পড়েছি...

বিপ্লবী হে শোন!
আমি তোমার নূরানী চেহারার মোহে পড়েছি,
ঠিক যতটা মোহে পড়লে চেহারা থেকে
চোখ সরাতে ইচ্ছে হয় না।

কারণ হলো আমি তোমার চেহারায়
সাহাবি আবু আইয়ুব আনসারি রাযি.- এর
চেহারার উজ্জলতা দেখেছি।

তাই আমি ঠিক ততটা মোহে পড়েছি...

বিপ্লবী হে শোন!
আমি তোমার কপালে দৃষ্টি আটকে রেখেছি,
ঠিক যতটা আটকে পড়লে মনে হয় পৃথিবী থমকে গেছে।

সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে হোজায়ফা রাযি.-এর কপালে
আমিরুল মু'মিনিন- এর চুমু খাওয়ার ইতিহাস
তুমি স্বরণ করিয়ে দেয়ার কারণেই

আমি ঠিক ততটা আটকে পড়েছি...

বিপ্লবী হে শোন!
আমি তোমার কণ্ঠের প্রেমে পড়েছি,
ঠিক যতটা প্রেমে পড়লে পৃথিবীর
সমস্ত কিছু বেসুরো মনে হয়।

তুমি তো জানো; খলিফায়ে সানি
উমর ফারুক রাযি. মসজিদে নববিতে দাঁড়িয়ে বলছিলেন
হে সারিয়া! পাহাড়ের দিকে দেখো।

আমি তোমার কন্ঠে সেই সুর দেখেছি
আর এ কারণেই

আমি ঠিক ততটা প্রেমে পড়েছি...

বিপ্লবী হে শোন!
আমি তোমার শরীরের গন্ধের নেশায় ডুবেছি,
ঠিক যতটা নেশায় ডুবলে
দুনিয়ার সমস্ত নেশা ত্যাগ করা যায়।

কেন জানো?
সাহাবি হানজালা রাযি.- এর বিবাহত্তোর দিনে
যুদ্ধে গিয়ে শহীদ হওয়ার পর তাঁর
শরীরের যে গন্ধে ফেরেশতাকূল
আসমানী গোসলের ব্যবস্থা করেছিল।

আমি ঠিক ততটা নেশায় ডুবেছি...

বিপ্লবী হে শোন!
আমি তোমায় ভালবেসেছি,
ঠিক যতটা ভালবাসলে নিজের মধ্যে
সবসময় তোমাকে খুঁজে পাওয়া যায়।

কেননা সাহাবিদের আমি দিল উজাড় করে ভালোবাসি
আর তাদের জীবনে পৃথিবী যা দেখেছে
আমি তোমাকে দিয়ে আবার তা পৃথিবীকে দেখাতে চাই বলে

আমি তোমায় ঠিক ততটা ভালবেসেছি...

বিপ্লবী হে শোন!
আমার ভালোবাসা কিন্তু একরত্তিও মিথ্যে নয়,
প্রতিদিন নতুন করে চোখ- চেহারা- কপাল -কণ্ঠ
এবং শরীরের গন্ধের প্রেমে পড়লেই তো ভালবাসা বৃদ্ধি হয়।

...................................................
১৮ সফর ১৪৪৩ হিজরি
শনিবার (দুপুর দুইটা সাতান্ন মিনিট)
শর্মা হাউজ (পল্টন টাওয়ার)
(শা'ন মুহাম্মাদ রেজওয়ান রামিন)