জীবনটাতে বড় কষ্টে আছি। একটা সামান্য মোবাইল। একটা ছোট্ট ছেঁড়া মশারি। বইপত্র, জামাকাপর রাখার মতো উপযুক্ত জায়গা নাই। জামাকাপর প্লাস্টিকের চেয়ারে পড়ে থাকে বিশৃঙ্খলায়। বইগুলি টেবিলে-বিছানায় ছড়াছড়ি। শৃঙ্গলাহীন টেবিল। বিছানার পাশে কাঠের তক্তায় চালের আর অপ্রয়োজনীয় জিনিসের বস্তা। কিচ্ছু নাই, শুধু সঙ্গে থাকে একটা রেডিয়ো। পারিবারিক-অর্থনৈতিক সমস্যায় ক্লান্ত। যত্সামান্য বস্র। চোখ বুজলেই মনে আসে আমাদের রুক্ষ শরীরের থেকে শহরে বড় বড় অট্টালিকার উপর থাকা লোকেদের শরীর কত নরম। শহরের পাশ দিয়ে গেলে মনে হয় যেন এক অজানা স্বপ্নের যাত্রা। করার মতো কিচ্ছু নাই। বাড়িতে এসে আবার অসয্য গরম। যেন স্বপ্ন, কত বন্ধু-বান্ধবী আছে যাদের জীবনে দুঃখ নেই, কত হেসে-খেলে স্কুলে আসে, কত জাঁকজমক, কত গল্প করে। আর আমরা শুধু দেখে থাকি সে জীবনকে। লড়াই, শুধু বেঁচে থাকার লড়াই। বাঁচতে যে হবে, বাঁচতে হবে, স্বাধীনভাবে বাঁচতে হবে। থাকবেনা যে কেউ পাশে একসময়। তারি মধ্যে জীবনের সঙ্গে লড়াই, শরীরের সঙ্গে লড়াই, মনের সঙ্গে লড়াই, অর্থনৈতিক লড়াই, পারিবারিক লড়াই, সামাজিক লড়াই, আবার জীবনকে জানার তীব্র পিপাশা। পৃথিবীর যে এত'ই বহুমুখী মন ক্লান্ত হয়ে যায়।
আলোচনাটি ৭৯৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ২৫/০৫/২০১৪, ০২:০২ মি: