কি অদ্ভুত! আমার পৃথিবীর বাস্তবতার কোথাও তুমি নেই
তবু বার বার অবাস্তব তুমি ফিরে এসে দাড়াও সামনে
স্মৃতির সিন্দুকে শিকল, তালা সব পরিয়েছি
তারপরও মন কেন যেন সেখানেই ডুব দেয় সারাক্ষন
মৃত সেই সাগরে বাস্তব তোমাকেই খুঁজে ফেরে।
আমি জোছনা রাতে রূপালী চাঁদের মাঝে তোমাকে দেখি
অমাবস্যার আঁধারে জোনাকীর আলোর মাঝে তোমাকে খুঁজি
বৃষ্টিস্নাত উজ্জ্বল আকাশে রংধনুর মাঝে তোমার আল্পনা বুনি
আমি গোধূলীর আলোতে ঐ রক্তিম আকাশে তোমার ছবি আঁকি
আমি ভোরের আলোয় পাখির ডাকে তোমার গল্প শুনি।
আমার ধমনীতে বয়ে যাওয়া রক্ত, আমার স্পন্দন
আমার মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম শিরা-উপশিরা, আমার নিঃশ্বাস
আমার সমস্ত শরীরের শিহরিতো আলোড়ন, আমার কামনা
আমার অস্তিত্বের মাঝে বেঁচে থাকা তুমি, আমার কান্না
আমার বুকের পাজরে রাখা স্মৃতি, আমার হাসি।
তোমার অস্তিত্বকে আমি আমার মাঝে জীবন্ত করি
তোমাকে হারাতে দিয়েছি, তোমার অস্তিত্বকে নয়
আমার ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের মাঝে আমি তোমার আল্পনা আঁকি
আমার স্বপ্নকে ভাঙ্গতে দিয়েছি, আমার কল্পনাকে নয়।
আমি তোমার উন্মাদনায় আজও তোমাকেই ভালোবাসি
আমার সব কেড়ে নিতে দিয়েছি, আমার ভালোবাসাকে নয়
আমার আত্মার মাঝে আমি এখনও তোমাকেই লালন করি
আমার পৃথিবীকে কেড়ে নিতে দিয়েছি, আমার আত্মাকে নয়।
যত দুরেই যাও, ফিরে আসো বা না আসো
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের কষ্টের আল্পনা
একাকী কেটে যাওয়া নিকোশ প্রহরের দীর্ঘশ্বাস
ঝরে যাওয়া চোখের অগুনিত বারিধারা
সবকিছুই আমার ভালোবাসার, তোমার নয়।
যে পথের বাঁকে এসে দুজনে নতুন পথ রচনা করেছিলাম
আমি আজও সে পথেই চলছি, তোমাকে ছাড়া একা
যে পথের বাঁকে আমাকে ফেলে অন্য পথে গিয়েছিলে
তোমার ঐ পথের অস্তিত্ব আমার জানা নেই,
কিন্তু তোমার অস্তিত্ব আজও আমার মাঝে আছে, জীবন্ত।