বাবা নাম টা যত ছোট মনে হয়
কাজে কিন্তু ছোট নাহ। এই বাবা নামে অনেক ত্যাগ, ভালোবাসা, পরিশ্রম, আশা, স্বপ্ন, জড়িয়ে থাকে।
তো বাবা নাম টি তো আর এমনি আসে নি ।
বাবা নামের ব্যক্তি টি জন্ম নেয় মায়ের কোল থেকেই,
তারপর কিছু দিন যাওয়ার পর
পিতা - মাতা হারানো বেদনা বুকে নিয়ে
শৈশব কেটে যাওয়া ব্যক্তিটির নাম বাবা।
তো সব বেদনা মুছে স্বপ্ন কে অপূর্ণ রেখে
জীবন সঙ্গিনী বেছে নেয়া অনেক কষ্ট সাধ্য ছিলো
এই বাবা নামের ব্যক্তিটির, যার সাথে অনেক পথ চলা বাকি
তাকে ঘরে তুলে দু মুঠো ভাত ডাল খওয়ার তাগিদে
বেরিয়ে পড়া ব্যক্তিটির নাম বাবা।
যাচ্ছে দিন ভালো, এই গুছানো সংসারে যেনো
দিন ফিরার স্বপ্ন বুনছে দুজন মিলে।
হটাত বাবা নামের সেই ব্যক্তি টি হাসপাতালে ছুটে গেলো।
কারণ ঘরে নতুন ফুল আসবে।
সেই সময় বাবা নামের ব্যক্তি টি বার বার অপারেশন এর ঘরের দরজার নিকট যাচ্ছে আবার দূরে চলে আসছে।
এই ভেবে যে দুইটাই তো কলিজা কলিজা দুটোর কিছু হলে তার কি হবে। আল্লাহর উপর ভরসা করে সাহস নিয়ে ঢুকলো ভিতরে,আর কলিজা দুটোর মুখ দেখে চোখে পানি চলে আসলো।
কিন্তু নিয়তি কি করলো বাবা নামের এই ব্যক্তিটির পরিশ্রম একটু বাড়িয়েই দিল। প্রথম পায়ে পা রেখে হাঁটতে শিখা সেই ব্যক্তি টি বাবা।
যার কাছে প্রথম কান্না করে কিছু বায়না করা সেই ব্যক্তি টি হচ্ছে বাবা।
যে দিন রাত খেটে ছেড়া শার্ট গায়ে দিয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে তে ভিজে শীতে কেপে পরিশ্রম করে যেন তার কলিজা দুটো ভালো থাকে ঠিক মত খেতে পারে।
সেই বাবা তার সব স্বপ্ন বাদ দিয়ে তার ছোট কলিজা টার ভবিষ্যত গড়তে পরিশ্রম করতে থাকে।
হ্যা এই সেই ব্যক্তি যার ত্যাগ, ভালোবাসা , পরিশ্রম , আশা, স্বপ্ন, সব বাদ দিয়ে একমাত্র সন্তান কে মানুষ করার জন্যে দিন রাত খেটে যায় সব কষ্ট আড়াল করে। অসুস্থ থাকলেও তিনি সুস্থ। তিনি না খেলেও তিনি খেয়েছেন। তিনি কষ্ট পেলেও তিনি খুশি।
এই সব কিছু যিনি করে থাকেন তিনি হচ্ছে সেই মহৎ ব্যক্তি
বাবা।