ছড়া ও কবিতাঃ-
*চৈত্রের শেষে*
কলঃ- ইয়াসিন সেপাই
তাং- ১৭/০৩/২০২০
===================
চৈত্রের ওই দ্বিপ্রহরে
তেপান্তরে ধুধু মাঠে।
তপ্ত তামা মেঠো পথে,
উড়ছে ধুল" ঘূর্ণি পাকে।
সূর্য এখন প্রখর রোদে,
মাথার উপর চড়ে বসে।
নীলা আকাশ ধুধু করে,
মেঘের দেখা নাই গগনে।
গাছের পাতা চুপটি করে,
সইছে গরম সূর্য রোদের।
আমের মুকুল,লেবুর ফুলে,
ভ্রমর" দল সব খেলা করে।
তরলমোতি ডানা মেলিয়ে,
উড়ছে,ইচ্ছে ডানার ভরে।
অনন্ত গুধুলির পড়ন্ত রোদে,
দেখছি মোরা চৈত্রের শেষ।
হল্কা মাখা গরম শ্বাসে,
তির তিরিয়ে কেঁপে ওঠে-
কুমারীর নাকের নলোকে।
নাকের নোলক ভালোবেসে,
জমেছে ঠোঁটের ফাঁকেতে!
কুমারীর ওই যৌবন ফসলে"
যেন সাগর ফেনীর উচ্ছাসে"।
উঠোন মাঝে শ্বাসত রূপ,
বাংলার ঘরে মানায় খুব।
এখন শূন্য ধানের গোলা,
তবুও বিন্নি"খৈয়ে থালা ভরা।
তাল" বাতাসে,খেজুর গুড়ে,
কুমারী জল ঠান্ডা মাটির পাত্রে।
এটাই তাদের জমানো ফসল,
চৈত্রের বেলা শেষে অবশেষে।
=====================
রচনাকাল= ১৭/০৩/২০২০