বিশ্বের অন্তর্নিহিত অর্থ সেই শাশ্বত সত্তা,
যে রয়েছে কাল, সময় ও পদার্থের অতীত।
অস্তিত্বের সূচনা নাকি অবসান?
তুমি আছো, আমি আছি তবে কোথায় আমাদের স্থান?
অচেতনে যে আত্মা বিলীন তাকে কি বলা যায়?
নিরাকার, অপার্থিব শক্তি নাকি আধ্যাত্মিক আলো,
যা ধারণ করে মহাত্মার পাপবিনাশী ভাবনা,
জ্ঞান ও বিশ্বাসের মধ্যে রহিত তার অভ্যন্তরীণ যোগ।
তুমি কি অনুভব করো এক অতীন্দ্রিয় সত্যের অস্তিত্ব?
জড়ত্বের রূপে প্রমাণিত সৃষ্টির সঙ্গী,
যে আমাদের অবজেক্টিভ সত্তা,
যেখানে প্রতিটি ধ্বনি, প্রতিটি চেতনা,
সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের শাশ্বত বীজের প্রমাণ।
প্রত্যেক পাণ্ডিত্য, প্রত্যেক বৈরাগী,
জীবনের চিরন্তন দৃষ্টিভঙ্গি, সেই এক আশ্রয়স্থল।
তুমি কি অদৃশ্য শক্তির প্রতি অবিচলিত বিশ্বাস রাখো?
সৃষ্টি ও বিনাশের চক্রে সেই শাশ্বত তত্ত্বের আধিকারী।
বিভক্তি, দ্বন্দ্ব, আপাতজ্ঞান এবং রহস্য,
এসব কিছু কি শুধুই দৃষ্টিভ্রম,
যার আড়ালে রয়েছে আসল উদ্দেশ্য,
কোনো এক চিরস্থায়ী সত্তা যাকে সৃষ্টিকর্তা বলি?
তথ্য, যুক্তি এবং চিন্তা,
তবুও আমাদের অন্তরে যে আনন্দময় রহস্য,
অন্তর্দৃষ্টি খুঁজে পেতে ছুটে যাওয়া,
এই পথে আস্তিকতার সন্ধান।
বিশ্বের সূক্ষ্মতা, গভীরতার রূপে,
আমরা জানতে চাই, অবিশ্বাসী হই অথবা অবিচল।
তবুও এক গভীর শান্তির প্রবাহে,
আস্তিকতার চিন্তায় মগ্ন থাকা,
আমাদের চিরকালীন দায়িত্ব।