বাংলা মায়ের কবিরা সব ভাষার জ্যোতি ছড়ায়,  
তাদের কলমে জন্ম নেয় বাংলা ভাষার জয়।  
রবীন্দ্রনাথের গানে মাখা সুরের মিষ্টি ঝরে,  
নজরুলের বিদ্রোহে দেখি স্বাধীনতার তরে।  

জীবনানন্দ দাশের চরণে রূপসী বাংলার গান,  
মধুসূদন গদ্য-কবিতায় আনেন নতুন ভাষার প্রাণ।  
সুকান্তের শ্লোগান যেন শ্রেণির জন্য লড়াই,  
আল মাহমুদের কবিতা কাঁদায় প্রেম আর মুক্তি ভাই।  

শামসুর রাহমানের কলমে রক্তে মেশে ভাষা,  
সৈয়দ শামসুলের বাণীতে স্বদেশের পূর্ণ আশা।  
আহসান হাবীবের অনুভবে রোমন্থন গ্রামজীবন,  
নির্মলেন্দুর কবিতায় পাই অভাবী স্বপ্ন ভোজন।  

ফররুখের কথায় ফুটে ওঠে ধর্মের শুদ্ধ রূপ,  
রুদ্র মোহাম্মদের প্রেমে দেখো বেদনা যেন রূপ।  
হাসান আজিজুলের বুকে থাকে সমাজের কত ক্ষত,  
শক্তির কলমে উঠে আসে হৃদয়ের যত ব্যথা।  

বেগম, সুফিয়া কামালের হাত ধরে নারী জাগ্রত হয়,  
নীরেন্দ্রের ভাষায় বাঙালি পায় সাহসিকতার রোশনাই।  
সুনীলের গানে জীবনের কথা সবার হৃদয়ে বাজে,  
মাইকেলের "মেঘনাদ" যেন বাংলার কথামাঝে।  

এইসব কবিরা বাংলার প্রণয় গৌরব ও প্রত্যাশা,  
তাদের হাতে লালিত হয়ে জাগে বাংলা ভাষা।  
তাদের কবিতায় আমরা খুঁজি নিজেরই ছায়া,  
বাংলা মায়ের সন্তানেরা কবিতার অমর মায়া।