আমি শ্রমিক,  
মাটির সাথে মিশে থাকা আমার অস্তিত্ব,  
ক্লান্ত হাত, ভাঙা কাঁধ—  
শ্রমের প্রতীক আমি,  
কিন্তু আজও কেন শৃঙ্খলে বাঁধা?  
কেন আমার রক্তে রাঙা  
অন্যায় আর শোষণের ইতিহাস?

মিলের আওয়াজে, যন্ত্রের গর্জনে,  
আমি যেন এক যন্ত্র— মানুষ নয়,  
শুধু শ্রমের পণ্যে পরিণত।  
কখনো কি ভেবেছি,  
আমার শ্রমের মূল্য কোথায়?  
কখনো কি শুনেছি,মুক্তির গানের সুর?

শ্রমিকের অধিকার,  
একা নয়, আমরা সবাই—  
বাঁধা ভেঙে উঠতে হবে,  
যেখানে হবে না অবিচার।  
শক্তি আমাদের একতা,  
জাগরণের মন্ত্রে গড়ে তুলবো  
এক নতুন সমাজ,  
যেখানে শ্রমের মর্যাদা থাকবে।

পুঁজির খেলায়,  
অর্থের দখলে,  
আমাদের মূল্যায়ন হয় না,  
শোষণ আর দুর্বৃত্তায়ন—  
কিন্তু আমরা রুখে দাঁড়াবো,  
হাতের মুঠোয় থাকবে  
শিক্ষার আলো,  
যার মাধ্যমে মুক্তি পাবো।

একটি নতুন ভোরের জন্য,  
শ্রমিকের মুক্তির ডাক—  
পদক্ষেপে পদক্ষেপ,  
একসাথে গড়বো নতুন রাস্তায়।  
আমরা হবো সংগ্রামী,  
যুদ্ধ হবে অধিকার প্রতিষ্ঠায়,  
আমরা চাই,  
শ্রমিকের জীবন হোক সমৃদ্ধ।

তোমাদের মালিকানা—  
আমরা তা দাবি করি,  
মানুষের মর্যাদা ফিরিয়ে দাও,  
শ্রমের প্রতি সম্মান জানাও।  
যেখানে হবে না শোষণ,  
যেখানে হবে না অবিচার,  
শ্রমিকের মুক্তির সূচনা হবে  
আমাদের একতাবদ্ধতার বার্তা।

হোক জাগরণ,হোক পরিবর্তন—  
শ্রমিকের মুক্তি আসবে,  
হবে নতুন দিনের সূর্যোদয়।  
এখনই সময়, আমাদের সংগ্রামের সুর,  
স্বাধীনতার চেতনা, শ্রমিকের মুক্তির গান!