ভাঙনের সময় বসতভিটার সাথে আমিও
ভেসে গিয়েছিলাম প্রায়।
তুমিই উদ্ধার করেছ আমার সংজ্ঞাহীন নিথর দেহ।
মেরুন দোপাট্টায় বেঁধে দিয়েছ শিলাবৃষ্টির
আঘাতে আমার বিক্ষত মস্তক।
উষ্ণতাহীন বানভাসি ফ্যাকাসে কায়ায় মায়া দিয়েছ,
চৈতন্য দিয়েছ তোমার দেহের শর্তহীন
প্রেমময় উত্তাপে।
আমার অজান্তে বুকের শহরটাও আমারই
নামে লিখে দিয়েছ তুমি।
হৃদয়ের বন্দরে তৈরি করে দিয়েছ প্রসাদ
আমার, আলিশান, রাজিকীয়।
যার উদার বেলকনি থেকে অবলিলায়
দেখা যায় উদয় ও অস্তাচল।
যেখানে বসে উপভোগ করি দুধেল পূর্ণিমায়
তারাদের লুটোপুটি।
তোমার চোখের নদে সাঁতারকাটি অহর্নিশ।
এখন তোমার আকাশটাকে আমার
আকাশ বলে মনে হয়, একন্তই আমার।
দখিনের জানালা দিয়ে উপভোগ করি
সাগরের স্নিগ্ধতা।
দিগন্তরেখার ওপারে যতো দূরে যায় আমার
দুর্বিনীত চোখ,
শুধুই আমার বলে মনে হয়,
আজকাল তোমার তুমিটাকেও আমার
বলে মনে হয়,
বিশ্বাস করো, শুধুই আমার....
আমাকে তুমিই দিয়েছ দ্বিধাহীন,
তোমার অলিখিত অধিকার..