কে বলে তোমার মরণ হয়েছে?
বীরবাহু কখনো তো মরে না!
যে ফুল ধরাকে সুরভিত করে
ক্ষণকালে সে তো কভু ঝরে না।
পাষাণের বুকে যে জাগালো প্রেম
সীমাহীন জ্বালা বুকে পাসরি।
এক হাতে রেখে খোলা তরবারি
আর হাতে রেখে বাঁকা বাঁশরী।
শ্যামা সঙ্গীতে পটীয়সী তুমি
বাজিয়েছো শাঁখ আর বীণা রে,
পাপিদের তুমি ডেকেছিলে দ্বিনে
আজানের ধ্বনি দিয়ে মিনারে।
রুদ্ধ করেছো শোষনের দ্বার
বৃটিশের বুকে ফলা হানিয়া,
জালিমের গড়া নিকস আঁধারে
দিবাকরে এনেছিলে টানিয়া।
শোষিতের তরে কারাবাসী মসি
স্নান করে বহমান রুধিরে।
বঙ্গমাতাকে দিয়ে গেলে যতো
কেমনে এ ঋণ বলো শুধি রে?
সময়োপযোগী সাম্যের কবি
সৃষ্টিতে রবে তুমি মহীয়ান।
বিশ্ব ব্যাপিয়া বাঙালির মুখে,
অনিবার রবে তব জয় গান।