অবশেষে তুমি এলে।
তুমি ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ থেকে উদগীরিত সোনা ঝরা লাভা,
রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত দালানের গায়ে জীয়ে ওঠা দুষ্প্রাপ্য অর্কিড তুমি,
আপাদমস্তক ঠিকরে পড়ে যার রাজকীয় জৌলুশ।
তুমি স্বৈরাচারীর সর্পিল ফনায় প্রজ্জ্বলিত নাগমণি।
তোমার হৃৎপিণ্ডে জ্বলে ক্ষোভের আগুন আর বুক ও পিঠে খোদাই করা বিদ্রোহী শ্লোগান,
"স্বৈরাচার নিপাত যাক
গণতন্ত্র মুক্তি পাক"
তুমি একালের জীবন্ত নূর হোসেন।
তুমি গণতন্ত্র গিলে খাওয়া বিত্তবান শহরে এক নিপিড়ীত নাগরিক।
তুমি পরিবারতন্ত্রের জাতাকলে নিষ্পেষিত এক নিষ্পাপ ললনা।
প্রেমহীন কামুকতায় প্রতি রাতে ক্ষয়ে যায় শামুকের গহীনবুকে লালিত মুক্তোর মতোন তোমার নিটোল যৌবন।
গিরগিটির লকলকে জিভ তোমাকে লেহন করে প্রতিরাতে প্রতিবার.....
কামনার কৃপাণে বলি হয় তোমার হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন, ইচ্ছে, অনুভূতি আর মোমের মতো মোলায়েম প্রেম......
প্রতিরাতেই চলে এই নরকীয় লীলা।
তুমি সর্বংসহা;
এক স্নানেই ধুয়ে ফেলো সব।
কষ্টের হিমালয়টাকে হৃৎপিণ্ডে লুকিয়ে খুনিকেই খুশি করবার পসরা সাজাও প্রতিদিন প্রত্যুষে।
নিষ্পাপ হাসিতে বিদায় জানিয়ে সারাদিন চলে তোমার আসছে রাতে খুন হবার আগাম প্রস্তুতি......
কি বিচিত্র জীবন....
হে নারী,
বিনম্র শ্রদ্ধা তোমায়।
কাপুরুষতন্ত্রের বেড়াকাটা থেকে মুক্তি পাক তোমার নিষ্কলুষ নারীত্ব......