কেউ কি বলতে পারো;
একটা রাতের দৈর্ঘ কতটুকু হতে পারে?
কতোটুকুই বা হতে পারে এর প্রস্থ অথবা বেদ?
ঘুমপলাতক চোখের কার্ণিশে যখন
অবিরত ঝরে কষ্টের কষ।
যখন কর্ণকুহরে প্রতিধ্বনিত হয় মৃত স্বপ্নদের
শবযাত্রার পদধ্বনি।
অদৃশ্য আগুনে পুড়ে যায় মনপুরিতে গড়া
সুরম্য অট্টালিকা,
বিবর্ণ ক্যানভাসে ওড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
সেই অগ্নিদগ্ধ হৃদয় থেকে গলে পড়া
প্রতি ফোঁটা প্রেমে কতোটা কষ্ট থাকে,
কেউ জানো কি?
একটাই তো রাত!
তাতে কতো ফুল ফোটে, ঝরেও যায় কতো!
অসংখ্য তারার মাঝে ঝরে পড়ে কতো তারা,
তারাখসা নামে।
সে রাতের গর্ভ থেকে অবলীলায় খসে পড়ে
অপোক্ত স্বপ্নদের অগণিত ভ্রুণ।
কে তার খবর রেখেছে কবে?
এমনি করেই কণ্টকাকীর্ণ জীবনের নির্ঘণ্টে
প্রতিনিয়ত উঁকি দেয় হুতাশন রাত।
সে দহনে যন্ত্রণা কতো;
জানে শুধু বিদগ্ধ অনুভূতি,
আর জানে একজোড়া নির্ঘুম চোখ........