মায়াবী তোমার মেঘকালো কেশ স্বলাজ দক্ষিণ হাওয়ায় দোলে,
আমায় দোলাও সংগোপনে।
ঠোঁটের নীচের কালো তিলক,কাজল কালো একজোড়া চোখ,
বেয়ারা বেজায়,আমায় টানে অন্ত:রালে।
তোমার মুখের মিষ্টি হাসি,ধরার বুকে নামায় শশী,
দিন কাটে মোর মহোৎসবে।
শিশির স্নাত শুভ্র বকুল,সদ্য ফোটা আম্র মুকুল,
সব ঝরে যায়,তুমি ক্ষণিক বিমুখ হলে।
তুমি আমায় স্বপ্ন দেখাও ডাহুক ডাকা শান্ত ভোরে,
আমায় নিয়ে কুঞ্জ সাজাও চন্দ্রলোকের অচিন পুরে।
আবার তুমি আমায় ভাসাও,খেলার ছলে বারেক ডুবাও,
কাটাও প্রহর ডুবসাতারে।
ইচ্ছে হলেই এই আমাকে দাও পাঠিয়ে নির্বাসনে,
সুজন বিহীন বন বাঁধারে।
আমি তোমার ইচ্ছে ঘুড়ি,দূর নীলিমায় দিচ্ছ উড়ি,
নাটাই ঘুড়াও নিজের হাতে।
খামখেয়ালির হেঁচকা টানে,ধরার বুকে আঁছড়ে পরি,
কি সুখ তুমি পাওগো তাতে?
তুমি আমায় তুচ্ছ কর,গোলাপ গুচ্ছে বরণ কর,
রপ্ত করে ষোল কলা।
সার্বক্ষণিক বারণ কর,আবার বক্ষে ধারণ কর,
নিত্য খেল একোন খেলা?
মেকি প্রেমে সিক্ত করি,মায়ার বানে বিদ্ধ করি,
খেলছ পাশা আমায় নিয়ে।
মিথ্যে তোমার প্রেম বিলাসে,কষ্ট দিলে কোন হরসে,
নষ্ট চাকের মধু পিয়ে।
তুমি আমায় মুগ্ধ কর দুগ্ধজাত শিশুর মত,
মুড়ির বাটি সামনে পেলেই যে ভুলে যায় বায়না শত।
তাই কি তুমি এই আমাকে, কব্জা করে বুকের খাঁচায়,
নাকের ফুটোয় সিকল বেঁধে,ইচ্ছে মত আমায় নাচাও?
আমি নাহয় হার মেনেছি,সব সফেছি আপন ভুলে,
তাই কি তোমার মরণ বিষে মারবে আমায় তিলে তিলে?
জলদি আস,তবু খুশী হও,বরণ করে নিচ্ছি মরণ।
নাও পাষাণী দিচ্ছি লিখে,এই অভাগার একটা জীবন।।
-----------++++++------------