গিয়েছিলাম বান্ছারামপুর
একটু এগুলেই হরিহরের মোর,
দেখে এলাম এক আজব মানুষ
স্বাধীন সে,মানেনা পোষ।

নিখিলেষ,সৌমিত্র আর প্রমল ঘোষ,
তাকে দেখার সাথে সাথে হারালো হুশ,
আমিও হারাতাম, হয়তোবা মরেই যেতাম
যদি না শেষমেশ, চ্যাটার্জি বাবুর হাত পেতাম।
হাতে ভর করে নিয়ে কোনরকমে একটুখানি দাড়ালাম,
এখনো মনে মনে, ভাবিতেছি ক্ষনে ক্ষনে
চশমাটা চোখে দিয়ে, আমি এ কি দেখলাম??

রামবাবু কাছে গেল,ভয়টা কিছু কমিল
ভাবিলাম হয়তো আজব,অথবা ভগবানের গজব
তবুও সে তো মানুষ বটে
দাড়াইয়া রইলাম তাই,চারিপাশে ফিরে চাই,
দেখি, কি ঘটনাইটানা ঘটে।


মুখে তার যা আসে, তাই যে বলে বসে
জিহবটা বারো ফিটে,দেখিলাম অংক কষে,
নাক তার খুবই ভোতা,মনে হয় পিষ্ট হয়েছে কলে
লোকে বলে একচোখা,অইটাও বাধা যে শেকলে।

হাত নাকি পেরালাইসিস,নিজ হাতে ভাত নাহি জুটে,
তবুও রাগ উঠিলে,কাম্লাটা ভুল করিলে হাতটাই আগে তার উঠে।
পা নাকি পংগু তার
রিকশা ছাড়া চলা ভাড়,
তবুও লাথি মারে
দুর্বল পাহে যারে।

যন্ত্র তার সেকেলে,
মল বা মুত্র এলে
শুনেছি কোন অনুভব নাহি পায়
তবুও পাশ দিয়ে,
সুন্দরি নারি গেলে
দণ্ডবৎ খাড়া হয়ে যায়।

জানিনা এই ঠোঁটকাটা লোভী মানুষগুলো  
পক্ষপাতিত্ব করে অপরের হক নষ্ট করে,অসহায়কে নির্যাতন করে কি মজা পায়,
কিন্তু আমাদের আশেপাশে তাদের হরহামেশাই দেখা যায়।
এখন সময় এসেছে তাদের প্রতিহত করবার,
প্রয়োজনে তাদের মুখের ভাত কেরে নেবার।
কিংবা ঐ যে, রিকশা সুবিধা??  তা হতে বঞ্চিত করবার।
তাদের মুখের উপরে বলবার-"বাছা, কুমির আনিয়াছ কেটে খাল;এইবার বুঝ, কত ধানে কত চাল।"