(আদি থেকে লাঞ্ছিত আদ্যাশক্তি কখনও ধর্মীয় বা কখনও সামাজিক আদেশে। যে আদেশ পালন করা হয় দেহশক্তির অনুসরণে বংশানুক্রমে। মানুশ থেকে সমাজ, সমাজ থেকে দেশ, দেশ থেকে জগত আজ এর অনুগত। সেই আদেশ আজ জন্ম দিয়েছে এক নতুন চিন্তাধারাকে। যার আঘাতে নারীর আত্মসম্মানবোধ ভূমিষ্ঠ হয় এক নিমেষে। ২০১২-১৩ সালের কয়েকটা ঘটনা আমাদের লজ্জায় ফেলেছে আবার..... বারবার..... জানিনা এর শেষ কোথায়।)
সকাল তোমার আড়ালে জাগে রাতের অন্ধকার
পিশাচ মোরা দাপিয়ে বেড়াই, সমাজের চিৎকার -
নীলের বোঝা বইবে কেন সবেধন নীলমণি
গুপ্ত ইচ্ছা কর্মের দান, কটু বাক্যও শুনি।
নয় আহ্লাদ, মোরা গোপন ইচ্ছের কৃতদাস,
এটা ধর্ম, এই পরিচিত মুখোশ ইতিহাস
বস্তুবাদি ভাবনা আমরা চালাই মূর্তিমান
নগ্ন নারী তোমাতেই দোষ, কেন মিছে অভিমান
তোমাতেই দোষ, যদিও তুমি আড়ালেই থাক রোজ
শুক্রঘরে অস্থিদাহ, তোমার জন্যে হোক
এমন কর্ম কোরনা যাতে, পৌরুষ যেগে ওঠে
প্রাচীন সমাজ আজও জেগে রয়, শত অজুহাত জোটে।
নতুন নিয়ম, নতুন প্রথা সব তোমারই জন্য
তুমি যতই শিক্ষিতা হও আমরা ততই বন্য
তবু তোমাকেই শিখতে হবে, আত্মত্যাগের মানে
তোমার কথা তোমার বিদ্যে, কজনেই বা মানে।
নিজেদের মোরা শ্রেষ্ঠ বলি, গোঁফে তা দিতে দিতে
মিথ্যে নিতি প্রজনন করি গায়ের জোয়ারিতে
এ হেন সময় তুমিই শ্রেষ্ঠ, আমরা মানবো কেন?
ঘরের দেবি, গৃহলক্ষ্মী ঘরেই থাকে যেন।
তাই যখন তুমি ভাঙবে বাঁধন, বাঁধবে সম্মান
হাজার সুজেট আর দামিনি হবে আমাদের দান
তোমরা শুধুই কামনার সুখ, পূর্ণ বক্ষ কথা
তোমার জন্যে বরাদ্দ সেই সুপ্ত ভ্রূণহত্যা
হায় কতকাল এমনি ভাবে সইবে শাসন মাতৃভূমি
সইবে নাকি দুঃখের পরে, ক্রোধের বলে ফাটবে তুমি
জানিনা এই সংক্রমণের অন্তক্রিয়া কখন হবে
নারী এবার নারী হবার যোগ্যাধিকার পাবে
তোমার ওপর এ অধিকার, অনেক কালের পর
অনেক চেতনা বিষিয়েছে তারা অন্তরে বর্বর
অন্তর্যামী আকাঙ্খা তার প্রলয় বিবর
কালের শেষে হারিয়ে যাওয়া পরম ঈশ্বর
আর নয় যাক হয়ে যাক শেষ এই চেতনার গর্ব
এ নরক ই পরিনত হোক বেচে থাকার স্বর্গ
হোক না তবে সুন্দর দেশ, দেশবাশির আশা
এই আশাতেই গর্জে উঠছে বিদ্রোহিণীর ভাষা