বিগত ২৭/০৫/২০১৩ ইং তারিখে ইন্টারনেটের পাতা ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ করে দেখা এই বাংলা কবিতা ব্লগের সঙ্গে । নিতান্ত কৌতুহল বশতঃ নাম রেজিষ্ট্রেশান করে দু-চার লাইন লিখে দিলাম।
আমি তোমাদের দেখানো পথের
নতুন সহযাত্রী,
পথিক আমি অচেনা পথ
দিগন্তের অভিযাত্রী ।
ব্ন্ধু, পথের দিশা খুঁজতে পথে
নেমেই দিশাহারা ;
আলোক বত্তির্কার আশায়
নিলাম বেছে কবিতার পসরা ।
আমি তোমাদের দেখানো পথের
নতুন সহযাত্রী,
আমায় দিও ঠাঁই, ভীরের কোনায়
কবিতায় দিবারাত্রী ।।
-------ছোট বেলায় স্ব-রচিত কবিতা লেখার একটা ছোট কম্পিটিশানে একটা কবিতা লিখে পুরষ্কার পাওয়ার স্মৃতিকথা ভেসে উঠ্ল চোখের সামনে, আমি যখন নবম-দশম শ্রেণিতে পড়তাম, তখন মা-বাবাকে ছেড়ে দূরে ছিলাম বলেই কিনা জানিনা খুব খুব কবিতা লিখতাম, জানি সেগুলো মানের দিক থেকে কবিতা বলা যাবে কিনা, কিন্তু লিখতাম । এই আসর পাওয়ার পর হাতে গোনা কয়েকটা কবিতা পুরনো খাতা থেকে পোষ্ট করা ছাড়া প্রায় সব লেখাই এই ব্লগ খোলে সরাসরি টাইপ করা, আসরের কবিদের উৎসাহ, উপদেশ , বিশ্লেষন আমাকে আজ ৫০০ তম কবিতা লেখার জায়গায় টেনে নিয়েছে । আমি আজ আপ্লুত , ভাবতে পারিনা আমি এই পরিতোষ ভৌমিক ৫০০ কবিতা লিখে ফেলেছি (মানের দিক থেকে কবিতা কি না সেটা যদিও জানিনা) । এই দিনে আমি উপযুক্ত ভাষা দিয়ে কিছু লিখব ভেবেছিলাম, কিন্তু লিখতে বসে আবেগটা এত বেশী প্রবল হচ্ছে যে, লেখা এলোমেলো হচ্ছে বুজতে পারছি, তবুও লিখে যাচ্ছি । আজকের দিন যদি, এই আস্রের সুপ্রিয় এডমিনকে একটা ধন্যবাদ না জানাই তবে সেটা হবে আমার বেঈমানী, কেননা এডমিনের প্রয়াসেই হাজার হাজার সৌখিন কবির মতো আমিও একজন কবি , আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এডমিন কে, সেই সঙ্গে আমাদের সকলের প্রিয় কবি প্রনব'দাকে , যিনি আমাকে "অমায়িক কবি" নামে আখ্যায়িত করেছেন । ধন্যবাদ জানাই কবীর হুমায়ূন'দাকে অনুপ্রেরণার আরেক নাম এই কবীর হুমায়ূন'দা । কবি বোদরুল আলম- কি বলব, আমার যে সব কবিতায় উণার মন্তব্য রয়েছে সেগুলো নিয়ে একটা ছোট কাব্য সংকলন প্রকাশ প্রকাশের কথাও ভাবছি, বন্ধু হিসেবে কবি শিমূল শুভ্র এর সঙ্গে ঘনিষ্টতা, মাসউদুর রহমান খান এর আথিতেয়তায় আমি মুগ্ধ, কবি সুশীল রায় যাকে আমি দাদা হিসেবে কাছে পেয়েছি, কবি অজিতেশ দা, পলক দা, স্বপন চক্রবর্তী দা, স্বপন মজুমদার দা, আগুন নদী, দেবাশীষ দা, প্রহেলিকা, মৌলিক, ভানম আলয়, জসীম উদ্দীন মহম্মদ, অচল পয়সা (মাইতি), সুমন, সঞ্জয়, শিমূদা, শ্রীতরুন, ঝরাপাতা, সূচেতা, সুবীর দা, অরূপ দা, আনিছুরর্হমান , সাইদুর রহমান দা, মিমি দিদি, শ্রাবনী, ফাল্গুনী, অপরাজিতা, রবি, শান্তারা, দিপন, মন্ডল, রক্তিম,মিতা দি, শ্যামলেন্দ্র দা, আরীফ, বিভুতি দা, প্রবীর দা, সাবলীল মনির, দীপঙ্কর দা, পবিত্র আচার্য্য, হাসান ইমতি, খান লোকনাথী কাকে ছেড়ে কার কথা বলব । অনেকেই বলবেন আমার নামটা কেন পরিতোষ লিখল না............ঈশ্বরের দিব্যি খেয়ে বলছি আমি আসরের প্রতিটি কবির কাছেই ঋনী । কেননা আপনাদের উৎসাহ অনুপ্রেরনা ব্যতিত আমার আজকের অবস্থান কল্পনাও করতে পারি না । আবার কয়েকজনকে খুব মিস করছি, বিভিন্ন কারনে আজকে তারা আমাদের আসরে অনুপস্থিত, তবুও ওদেরকে ভুলতে পারব না । আবার চলার পথে অনেকের সঙ্গে কিছু কিছু মত বিরোধ হয়নি তাও কিন্তু নয়, এভাবেই সব মিলিয়ে আমরা এক সূত্রে গাঁথা ।
সবশেষে আমি আমার আজকের এই লেখাটি অনুজ কবি ইথার কে উৎসর্গ করলাম এই কারনে যে, ব্যপক জ্ঞানের ভান্ডার এই জুনিয়র কবি , আমাকে দাদা বলে সম্ভোধন করে অনেকটাই কাছে চলে এসেছে, আজকের লেখার বিষয় ভাবনা তার ।
সকলকে নিয়ে এভাবেই আমরা এগিয়ে যাব এই দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে আমার আজকের ৫০০ তম কবিতা প্রকাশের দিনে আপনাদের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা, প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই ।