এক যে ছিল রমজান আলী
থাকত হিঁদুর গাঁয়ে,
হিঁদুর মতোই চাল চলন
মাখত আবির গায়ে,
ঘুম ভাঙ্গায় তার প্রার্থনার
কাঁসর ঘন্টার সুর,
হয়না আজান নামাজ পড়া
সকাল বিকাল ভোর,
এমনি করে রমজান আলী
আস্তে আস্তে বড় হয়ে,
নাম খানি তার পাল্টেই ফেলে
রমজান রঞ্জন -এ ।
এখন রঞ্জন হিঁদুর মতো
কাজ করে ভাত খায়,
পূজা করে দেবদেবীর
জানালেই জাত যায় ।
আরেক ছিল তারক বর্মন
পাকিস্থানে তার বাস,
সেই দেশে তার নেই স্বজন
বন্ধু রহিম আব্বাস,
চেনেনা সে সব দেবদেবতা
চারপাশে মসজিদ ,
আনন্দ উল্লাস ধর্মের প্রথা
শুধু জানে দুই ঈদ,
এমনি করে তারক বর্মন
হয়ে গেলো যে তারেক,
গোমাংসও সে খায় এখন
শশুর তার বারেক ।
এমনি কত তারক বর্মন
তারেক কিংবা মালেক,
রমজান আলী রঞ্জন হয়
পারিপার্শ্বিক মালিক ।