সেদিন দুপুরে চৈত্রের রুদ্দুরে
একঝাক অপমানে অভিমানী ফিরছিল
স্কুল থেকে একাকী ।
হঠাৎ যূবক দুই নিয়ে এল ছাতা
কানুর বাড়ীর ঠিকানা জানার বাহানা
গল্প জুড়ে ক্ষনিকে আপন যেন ।
রাতের আধাঁরে তারাদের ভীড়ে
ছেড়া পরিধানে আঙ্গিনায় বসেছিল
সারারাত একাকী ।
লজ্জায়, ক্ষোভে, ভয়ে একাকার
মাকে ডাকার সাহস পায়নি
অথবা আত্মহত্যার ।
শেষ রাতের শুকতারাটা হাসছিল
অপবাদের হাতছানি দিয়ে,
মেয়েটা ভাবছিল,
ছেলেগুলো মন্দ ছিলনা মোটেই দেখতে
খাবলে খাবলে খেল যখন, কেমন
নর পিশাচ হয়ে গেল ;
প্রথম দিকে বাধা দিতে দিতে একসময়
হেরে গিয়ে ছেড়ে দিল দেহটা
হিংস্র হাঙড়দের হাতে,
এরই মধ্যে একটা আবার মায়া করে
জিজ্ঞেস করল 'তোমার নাম কি...লাগছে ?'
কি অপরূপ মহিমা তোমার হে সৃষ্টিকর্তা !
মেয়েটা বেঁচে আছে বাঁচাতে 'তাকে ।
ষোড়শী জানে, মৃত্যু কথা বলে -
হয়তোবা ওপারে বসে শুনবে ফাঁসীর আদেশ,
কষ্টে কঁকিয়ে উঠল বুকটা ...বেঁচে গেল ।
সকালে উঠান ভরা মানুষ দেখছিল
খাবলানোর ক্ষ্তগুলো,
জননী চাঁদর দিল নাক ছিটকে
মরলে বেঁচে যেত সমাজ ।
দেখলনা কেউ বুকের ভিতরটা যেখানে
ঘাঁ দগ দগে, প্রতিশোধ কিংবা প্রনয়ে ।
অপহৃতা হেঁটে যায় পথিক তাকায়
কোথায় ছিল ক্ষ্তটা ?
কোন পরিবর্তন নেই তো !
কেন বেঁচে আছে মেয়েটা ?