ইছামতীর তীরে যখন বসে আমি একা
নাইবা ছিলে পাশে তোমি
নাইবা হলো দেখা
আকাশ পানে চেয়ে দেখি তোমার ছবি আঁকা ।
দুর সূদুরে পালে পালে দোলে তোমার মুখ
ভাটিয়ালির সুরে সুরে
ছড়ায় যতো দুখ্
তোমার আবছা অবয়বে খোঁজে পাই সুখ ।
বালুতটে লম্বা ছায়ে বিকেল রোদে তোমি
নাইবা ছিলে সশরীরে
ছড়িয়ে প্রেম রশ্মি,
তোমার পদ চিহ্নে চিহ্নে হেঁটে গেছি আমি ।
ধবল বকের পাখায় আঁকা তোমার মুখ খানি
আমায় ডাকে ইশারাতে
মুক্তাকাশের ধ্বনি,
উদাস চোখে এড়িয়ে যাই মেঘের হাতছানি ।
ইছামতীর তীরে যখন বসে আমি একা
মানিব্যাগের মণিকোঠায়
তোমার ছবি রাখা,
অপেক্ষার গোধূলি বয়ে যদি পাই দেখা ।
ঝাউবনের কলতানে শুনি কণ্ঠ নিনাদ
মুক্ত বিহঙ্গ বিহ্বরে
করে আর্তনাদ,
একমুঠো সাক্ষাৎ অথবা সলিল স্বখাত ।