মনে পরে ডলি ,
নব্বইয়ের দশক
আমি তখন দ্বাদশে
তোমার দশম,
কি গাঢ় উত্তেজনা
প্রগার উদ্দীপনা,
কথা বলতে ঠোঁট কাঁপা
হাতের তালু ঘামা !
এভাবেই অঙ্কুরিত চারা
দিনে দিনে বেড়ে উঠে
সব গাছ ছাড়িয়ে
আকাশে ঊঁকি মারে ;
শান্ত পরিবেশের স্নিগ্ধ ছায়া
অস্থায়ী উপভোগ মনোরম মায়া,
দুই বুকের দৃঢ় প্রত্যয়
এক আকাশ প্রত্যাশা,
লক্ষ কোটি স্বপ্নের গল্প
রাত নিঝুমের ভাষা,
তোমার প্রিয় চাঁদ তারা
আমার সুর্যাস্ত,
সাক্ষী থেকেছে উদোম গায়ে
রাতদিন সহস্র ।
সেই যে মহাদেব দিঘী
শাপলার রং-এ মাখামাখি ,
পুরাতন রাজবাড়ির
ভাঙ্গা ইটের ছড়াছড়ি,
অথবা তোমাদের বড় পুকুরে
লাই খেলার ছল চাতুরি,
আবার আরেক দিন গোমতীর বুকে
মাছ ধরার বৃথা পায়চারী ।

মনে পরে ডলি !
একদিন পূর্ণিমা রাতে
ছনবনের ব্রিজে,
পাশাপাশি দুজন অনেকক্ষন
তবুও হয়নি বলা কোন কথা
শেষে শুধু বলেছিলে
'ভাল লাগে গায়ের গন্ধটা।'

কবিতার ছন্দ হলে
আবেগ লুকিয়ে যাবে,
তাই তোমি চাইতে উপন্যাস,
আমার কলম বড় নির্মম
প্রকাশ বিরূপ , লাজুক রতন ,
তবুও অনেক পাতায়  লিখে রেখেছে
সেই ছয় দুই পঁচানব্বই,
যেদিন তোমার সিঁথিতে দিয়েছি
সিঁদুর এক চিমটি,
যদিও আজকের কবিতায়
একথা মিছেমিছি ।

মিছেমিছি পূজা দেখা
'বেকার টি ষ্টলে' খাওয়া,
প্রতি শনির সন্ধ্যায়
ষাট কিলো ছুটে যাওয়া
ঘন্টা খানেকের লেনদেন
মন-মুখ-চোখের ভাষা,
মিছে আজ হারিয়ে যাওয়া
গোধুলীর কল-কাকলির
বিস্মৃত বকুল ছায়া......

(স্মৃতির পাতায় বিচরন ইচ্ছে করে হয় না, কখনো কখনো নিজের অজান্তেই গতকে ছূঁয়ে দেখা হয়,
তেমনি কোন এক বিকেলের স্মৃতির ক্যানভাসে ভেসে উঠা আমার অনেক দিন আগের একটি লেখা
প্রকাশ করলাম, জীবন চলার পথের মাইলষ্টোন  গুলো যত পুরোনো আর ক্ষত বিক্ষতই হোক না কেন
পথের পাশে সাক্ষী হয়ে থাকে, আছে , থাকবে ; তাই সেখানে ব্যকরনের বেশী আবেগ কাজ করে ।)