ঈশ্বরের যেদিন শরীর খারাপ থাকে
মন্দিরের বাইড়ে বেশী ভিড় হয়
বরণ ডালা সাজানো হয় অজস্র ফুল পল্লবে
উপঢৌকনে থাকে হাজার ফল মূল ।
ঈশ্বর যেদিন ভাবে নির্জলা উপবাসে থাকবেন
গ্যালনে গ্যালনে দুধ আসে মানত দিতে,
ঈশ্বর যেদিন ভাবেন আজ একাদশী হবে
সেদিন বলি পূজন হবেই হবে ।
ঈশ্বর ঈশ্বরের ভেতর থেকে হাসে
বৃষ্টি দেয়না আষাঢ় মাসে,
পূর্ণিমায় চাঁদ ঢেকে রাখে
শরতে আটকে রাখে শারদীয়া ।
ভক্তের সমাগম আরও বাড়ে
কোষাগার পরিপূর্ণ হয় যায় ধনে
সৃষ্টির সেরা জীব মেতে উঠে উল্লাসে
ঈশ্বরকে খুশী করবে প্রত্যেক জনে ।
একদিন ঈশ্বর রেগে শাস্তির খাড়া হাতে
প্রলয়ের ধ্বংস ডেকে আনতে পৃথিবীতে
মন্দির থেকে বেড়িয়ে দেখেন,
ভক্তরা বড় অসহায় !!
ঘটি বাটি বিক্রি করে
এসেছেন প্রসাদ নিতে ,
লোকাচারে কেউ গড়াগড়ি খাচ্ছেন
কেউবা দিচ্ছেন মাথার চুল ;
বিনা বসন, অতি বসন, অনাচার, অত্যাচার
সবকিছু চলছে অবাধ ঈশ্বরের নিমিত্তে ।
কি যেন কি হল ! হঠাৎ ঈশ্বর
আরোও গেলেন ক্ষেপে !
দিবি তো দে, আরোও দে,
ঘাম দে, রক্ত দে, ইজ্জৎ দে,
যতটুকু আছে সবটুকু দে,
এই বলে যেই প্রলয় নৃত্য করলেন শুরু,
সবাই সব দিয়ে দিলেন...
হয়ে গেলেন রিক্ত,
এমনি করেই দিনে দিনে
রইল না কেউ আর ভক্ত ।
ঈশ্বর থামলেন, এক্কেবারে পাষান
মন্দিরে ঘণ্টা বাজে, গীর্জায় হয় প্রার্থনা
নিয়ম মেনে পাঁচ বেলা মসজিদে দেয় আজান
তবুও আমাদের ঈশ্বর এখন শুধুই উপাখ্যান ।