তোমার ক্লেদাক্ত চেহারাটা আমি দেখেছি
কাছে থেকে চুমু খেয়ে,
বুকের পাশে মাথা রেখে
কখনো কখনো আবার আঁচলে মুখ ঢেকে ।
তোমার স্নেহের শীতল পরশ আমায় মোহিত করে
আজও, যখন আমাদের দূরত্ব কিংবা ঘনত্ব
নিয়ে প্রায়শঃই মাপজোক চলে,
ফিতার এককে এককে অথবা স্কেলে ।
তুমি এত ভাল !
রক্তের বন্যা, গুলির বর্ষন, জীবনদান, আত্মহনন
এ সমস্ত শব্দাবলী মনে হয় অযথা,
নিরর্থক কলমের রক্তক্ষরণ ।
তুমি এত সুঠাম !
বাহু বন্ধনের অমোঘ চাহিদার কাছে
নিমেশে লজ্জাবনত জাত কূল মান
সমাজের সংস্কার, সংরক্ষণ ।
তুমি এতটাই মোহময়,
জীবন যেখানে পরাকাষ্ঠা, জীবিকা উচ্ছিন্ন
লেলিহান অগ্নিশিখার সামনে
নতশির পদানত উদ্দাম যৌবন ।
তদুপরি, ক্ষমতার লোভে পাল্টে যাওয়া
তোমার রক্তলাল চোখদুটো
আমার চোখে ধরা পরেছে চশমার ফাঁকে ;
তাই, আর কোন আপোষ নয় এবার
কাছে টেনে নেব অন্ধকার,
শুধু অভিমান, শুধু মন্দের মন্দাকিনীকে ।
বেঁচে থাক তুমি তোমার ক্লেদাক্ত চেহারার
ক্লেদগুলোকে নিয়ে,
মোহ আর আবেগের মুর্চ্ছণার কাছে
আন্তরিকতার মোহনা নীরবেই কাঁদে ।