একটা একুশ নীরব থাকে বাংলা যখন কাঁদে
বাবা'র আবেগ হারিয়ে যায় পাপ্পা যখন ডাকে,
শখের ষ্ট্যাটাস তৈরী করে ইংলিশ চাপায় কাঁধে
মা'য়েরা মাম্মা হয়ে উড়নায় মুখ ঢাকে ।

একটা একুশ রাত জাগায় চেতনায় শান দিয়ে
রক্তে রাঙা পথ দেখায় ইতিহাসে রং দিয়ে,
ভীষণ ভাবে চেষ্টা করে সৃষ্টি কৃষ্টি বাঁচাতে
আজও গান রচিত হয় সালাম বরকত নিয়ে ।

একটা একুশ মুষড়ে পরে মিশ্রন মিস্ত্রির ভিড়ে
হাবিজাবি সব পাতায় পুরে বাংলা বইয়ে মোড়ে,
বিশ্বায়নের নাম করে কেউ বিশ্বাসঘাত করে
মা'কে বেঁচে মাসি আনে মসীর সংসারে ।

একটা একুশ গর্ব করে বুক ফুলিয়ে হাটে
আজও রাখাল গরু চড়ায় কদমতলীর মাঠে,
ঈর্ষা করে সাহেব কুটুম উর্দ্দু ছড়া কাটে
বর্ষা এলেই নৌকা ভাসে হারান মাঝির ঘাটে ।

একটা একুশ বেঁচে আছে চোখের জলে ঐতিহ্যে
বইয়ের পাতায় শাড়ির ভাঁজে ধুতি লুঙ্গির সাজে,
আন্দোলনের বুলি শেখায় স্বাধীনতার শৌর্যে
আজও একুশ বুকের ষ্পন্দন বাংলার প্রাচুর্যে ।