যতদূর যাওয়া চলে,
যতটা যাযাবর ইতিহাস লেখা কালের অধরে
অন্তরে পুষে রাখা তমসা-
তার চোখ জুড়ে থাকা ঘন ধোঁয়াশা!
অন্তরীক্ষে প্রত্যাবর্তনের পরে
প্রিয়তমা তার হৃদয় চিবিয়ে খায়
খ্রিস্টীয় যুগের সেই বিশেষ দিনে
চাঁদ নিয়ে কবিতা লেখা বন্ধ হয়ে যায়।
নেমে আসে বিষাদের ঘোর অমনিবাস!
জোৎস্নাশোকে শব্দেরা শব্দহীন হয়ে গেলে
কবিরা উন্মাদ হয়ে যায়…
আত্মহনন রত কবিদের দাবী ছিল,
পুরো শতক জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অমাবস্যায়-
তাদের কলম গুলো হারিয়ে গেছে।
সেই ক্ষণে কবিতার মৃত্যু রচিত হয়,
কবির প্রয়োজন ফুরায়…
সে মৃত্যু-বার্তা পৃথিবী ময় ছড়িয়ে গেলে
কবিতার বাজারদর হঠাৎ বেড়ে যায়!
মানুষ মরে হারিয়ে যায়,
শিল্প মরে ‘ইতিহাস’ হয়!
শতাব্দী কাল চলতে থাকে তার শেষ নিদর্শনের খোঁজ-
যে কবিতাটি কেউ খুঁজে পায়নি,
শব্দেরা সে রাতে বোবা হয়ে গেলে
সে কবিতা লেখা আর হয় নি!
শেষ কবিতাটি কেবল কবির কাছেই আছে,
আর মানবস্মৃতির সতত নিয়মে
কবি মরে হারিয়ে গেছে!