জীবনের রেলগাড়ি টা হাসতে হাসতে লাইনচ্যুত করে ফেলেছি।
একটি হাসির জন্য।
মানুষটার পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকতে থাকতে কখন যে শুয়োর হয়ে গেছি,
বলতে পারিনি।
সেই একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরেছি,
গুলি করে উড়িয়ে দিয়েছি আত্যসম্মানের ঘিলু।
অবৈধ স্থাপনার মত গুড়িয়ে দিয়েছি স্বপ্ন,
গলা টিপে শেষ করেছি ইচ্ছা গুলো,
একটি হাসির জন্য।
বজ্রগুলো আমার রেখে বৃষ্টি গুলো তাকে দিয়েছিলাম।
একটি হাসির জন্য।
শত নিশির সহস্র প্রহর
নীরবে-নিভৃতে সয়ে গেছি
চোখ রাঙ্গানি।
একটি হাসির জন্য।
তবুও সেই হাসির ঝলক পাইনি খুঁজে,
পাইনি সে আলো আধারের মাঝে।
সুধু দিয়েছে হৃৎপিণ্ডে পচন,
দিয়েছে নির্বাক অশ্রুক্ষরণ।
আজ সেই হাসির প্রতিক্ষায় নেই।
মুচকি নয়,
অট্টহাসিতেও কোন লাভ নেই।
কারন সেই হাসি আজ মূল্যহীন,
অর্থবিহীন।
বড্ড দেরি হয়ে গেছে,
শুকিয়ে গেছে জলপ্রপাত,
রংধনুর রঙ আজ শুধুই নীল।
হয়তো কিছুটা ধূসর মিশে আছে তাতে।
আর অবধারিত মৃত্যুর সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে যাচ্ছে,
আমার হৃৎপিণ্ডে পচন।