আজ নবঘন সাজে নৃত্যরত প্রভাতের রবি
বসন্তের ডাকে।
ওগো এসেছে গো রং কোথায় লিখবে তুমি কবি;
বসন্তের ডাকে।
তুমি একাকিনী,বলগো কোথায়?
জীবনের হোলি খেলবে হেথায়।
রং লেগেছে গো পাতায় পাতায়;
বল তুমি বসন্ত এখন কোথায়?
মনে উদাসীন ভাব এক ঝাঁক কোকিলের ডাক
বসন্তের ডাকে।
হায় রাগ অনুরাগ মুছে গিয়ে বসন্ত থাক;
বসন্তের ডাকে।
তিমির দুয়ারে থেমে গেল রব
প্রকৃতির মাঝে ফিরে এল ভাব;
অন্তর মাঝে দেখা দিল যত তারার সমাহার।
নব নব ভাব মনে এল সব
পতত্রীরা করে মুখে যত রব;
সাঁঝের বেলাতে দেখা গেল তোর,চঞ্চল মন ভার।
আহ রজনী প্রভাতে হরেক অনুরাগ রঙ্গে
বসন্তের ডাকে।
নদী ভাব তুমি কেন, সাজাবে অপরূপ বঙ্গে;
বসন্তের ডাকে।
বসন্ত কুসুম ফুটেছে যে ক্ষণে,
দেখা গেল তার কোন এক বনে,
জানে শুধু তাই কোন এক জনে,
প্রকৃতিকে মন্ত্র দিলে সংগোপনে।
ওহে দিলাম অঞ্জলি অজস্র ঐ লতা,পাতা,ফুলে;
বসন্তের ডাকে।
মনে বেঁধেছিল তাল,গেয়েছি গান অঙ্গার তলে;
বসন্তের ডাকে।
রজনী পোহাল গাও গান শুনি,
মাতল গন্ধে ফুটেছে কি গুণী!
লিখি খাতায় পাতায় পাতায়-কলমে কালি নাই।
সলিল মাঝারে গড়াগড়ি খায়;
কোন দেহখানি মূর্ছারত হয়!
কুঞ্জ দুয়ারে বাঁধা ছাড়িয়ে বসন্ত গান গায়।