শীতার্ত ডাক(অক্ষরবৃত্তঃ৯+১০+২/৩)
মোঃ রুবেল
উন্মাদনায় ফুঁসে ওঠা বাতাসের নিমঝিম চাহনি শেষে
শরৎ-হেমন্তের শেষে আহেল ঊর্ণ-নাভ ধূসরিত কেশে-
দাঁড়িয়েছে আজ পাণ্ডুর ধূতির ওপারে ধূয়াশার বেশে।
সে কি শীত?না-
শীতের আসায় হারিয়ে যাওয়া পত্রের ব্যথায় হা-হা কার;
বৃক্ষের নিরাওয়াজ কান্না শীতার্ত মানুষেরে খুঁজে আনে।
জংলা ভিটেয় সদ্য গজানো ভাটির ভীড় ঠেলে কুঁয়াশা এনে-
ভোরে দেয় নড়বোড়ে ব্যাড়ার ফাঁকে,বৃদ্ধদের দাঁতে-দাঁত লাগা- কাঁপনি।
নাড়ার গাদায় কুকুরের মতো মুড়িয়ে আছে মা মরা ছেলে -নুলু।
দুর্বাফুলের ডগা ভোরে জমে থাকা জোসনাস্নাত শিশিরে-
পা ধূয়ে উড়ে আসা বক সাবধানে বসে নাড়ারোপরে বাঁশে।
ফুঁসে ওঠা বায়ু-ও বয়ে চলে নিরবে ছমছমে ভাব নিয়ে,
এক টুকরো আগুনকে ঘিরে জটলা।
কেউতো দেয় না এঁদেরএকটুকরো থানের কাপড়ের লেপ-
বেশ তো কাটছে বাবুদের পশমি- উল জড়িয়ে কংক্রিটের নীচে
দেখেনা কি ভেবে বাবু, কেমনে পেলে ও উল তুমি?
নুলুদের রক্ত বেচে।