কেরে চলে গেল ওই অতন্দ্র প্রহরে
সাদা বকেদের বেশে হেমন্তের ভোরে,
বিশ্ব নিখিলে রক্তিম সূর্যটাকে জ্বেলে
সে যে হারিয়েই গেল তুচ্ছ পাখা মেলে।
কিংবা ঘোর আঁধারের শেষ জ্বোনাকির আলোটুকু নিয়ে,
বিস্ফোরিত আলো জ্বেলে তবুও প্রস্তান তাঁর হতাশাকে ছুঁয়ে।
তাঁরা তো বিদ্ঘুটে রাতে একলা ঘুরে ঘুরে
লেবুপাতায় ঘুমন্ত জ্বোনাইদের জাগিয়েছিল
বলেছিল ওঠো আলো জ্বালো এই কালো রাতে,
তীব্র তুষানলের ক্ষতের যন্ত্রণা বুকে লালন করে;
পৌষের রাতের শেষে যাঁরা বৃষ্টি ডেকেছিল, সবুজের বুকে একটি ফুল ফুটাবে বলে
এই বৃষ্টি তো তাঁদের বিসর্জিত অস্রু!
নিস্পন্দ প্রেমের মৌনতাকে রেখে যায় তাঁরা এক;
শুকানো শিমুলের চূড়ায় দুটি কোকিলের মাঝে!
শ্মশানে ঝলসা হাড়ের মতো আাজ পাল্টে গেছে দেশ,
প্রেয়সীর গোলাপের কাঁটা গুনে গুনে বিঁধে দেয়-
সকল প্রেমিকদের হৃদয়ে সব শেষ!
লুটতরাজ হয় ভেতরের আমিত্ব কে!