চলে যেতে যেতে দুপুরের মেঘে অন্ধকার ডাকে
চিত্রল প্রজাতির ডানা মেলে হারায় বহুদূর বঙ্গের বাকে;
সভা তাঁর, যে সন্ধে নামায় তালের জট ছুঁয়ে গুগরোর খাদে -
ইশারায় ; ফ্যালফ্যালে রাঙা আঁখি শরতের ডাবের কোনায় যৌবনভার চাঁদে;

ষোল ছুঁই কুমারীর প্রেমে নেবুর শাখায় জ্বোনাকির মালা ভরে,
জ্যোৎস্নাডুবা জলে চাঁদের হাসি মধুমতির চরে!
হেমন্তের কোলে পৌষ ঘুমায়, শিশিরের চকচকে হাসি ধুয়াশার আড়ালে;নেমে আসে লুতার জাল বেয়ে শুভ্রের কোলে।

নির্লিপ্ত হয়ে ছুটে চলে এক গুচ্ছ মেঘ,
সে তো আমি!
অনিন্দ্য বাসনায় ভালোবেসেছিলাম যে নারীকে;
তাঁর পানে—নব শালুকের পদ্মলোচন বলে, "ফিরে এসো ভোরের আলো রূপে কুয়াশার নীড়ে!
কলাবনের সন্ধ্যা নামা বাদুড় হয়ে!"
বেথুল ফলের মতো নীল আখি প্রিয়তমার,
দেখেছিলাম নবান্নের ধানক্ষেতে শালিকের চোখে।
স্নেহার্দ্র  টলমলে হাসি—চাঁদের; শিরীষের ফুলবেয়ে নেমে আসে  কান্তার পরে।
বিমর্ষ তামাটে এক ফালি মেঘে ঘুমিয়ে থাকা ব্যাঙের স্বপ্ন নিয়ে, যেন_
ফিরে আসি বার বার কুয়াশার কাশবনে দুবলার কেশে!