মেয়েটা শরীর ব্যবসায়ী ।
জানিনা কি কারনে; মূল্যহীন জীবন করেছে কমদামী ।
গলিটা রাস্তা থেকে দূরে
জনসাধারণ চক্ষের আড়ালে ।
তবু কিছু না কিছু ধরা পড়ে
দর কষাকষি-বচসা গুঞ্জনে ।
কালি মাখা অমাবস্যা রাতে
একটা পেঁচা ডাকছে কার্নিশে বসে ।
চারিদিক শুনশান, থমথম করছে
ঝিঝি পোকা আর ব্যাঙ কোরাস ধরেছে ।
লাম্প পোস্টের বাতিটা দপদপ করছে
রাস্তা ঘাট সব স্যাঁতসেঁতে ।
মেয়েটা দাঁড়িয়ে ল্যাম্প পোস্ট ঘেঁষে
কথা হয়েছে খদ্দের আসবে মাঝরাতে ।
নিয়ে যাবে কোন নির্জন পল্লীতে ।
আচমকা
গনগনে শব্দে একটা মোটর এসে থামল
মেয়েটা উঠে গেল ।
পরদিন পচা খালে দগ্ধ করা লাস
হাতটা বাইরে ছিল, বাকি সব আগাছার গ্রাস ।
উদ্ধার হয়েছে সবে
ডোম এসে নিয়ে যাবে মর্গে ।
কাটাকুটি তছনছ লাশকাটা ঘরে
রিপোর্ট কাল পাওয়া যাবে ।
ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে
নৃশংস ধর্ষণে মেয়েটা মরেছে ।
পরিচয় ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
পেয়ে গেল শেষে গলিটার হদিশ ।
দেহ ব্যবসায়ী মরেছে ধর্ষণে
বিচার হবে কি হবেনা রাজনীতি জানে ।
ধামা চাপা পড়ে গেল নৃশংস ঘটনা
বুদ্ধিজীবীরা বলছে; সাজানো পরিকল্পনা ।