১.
কোথায় সে স্বপ্ন সুন্দরের মুখ
শেঁকড়ছেঁড়া ধূ-ধূ অনুভুতি
খুঁজে ফেরে অভয়ারণ্য;
প্রজাপতি বিকেল পান করে
সুন্দরের সুষমা;
আমি কাকে পান করি
খরাদগ্ধ জীবনে পাই খুঁজে
তৃষ্ণা নেভানো জল।
২.
অনন্ত নক্ষত্র জুড়ে- স্বপ্ন পিপাসায়
তুমি ডুবে যাবে কোন জলে
গহনের অতলান্তে
কে দিবে খুলে
গুপ্ত দুয়ার;
ক্লান্ত পথ শ্রমের সবুজ ঘামে
ঘুমায়ে যাবে সব পিপাসা।
৩.
কেন এত স্বপ্ন ভঙ্গের জল
অতলান্ত এ পিপাসা
কোটি জনতার ভিড়ে
পাওনা খুঁজে- স্বপ্ন মানুষ।
৪.
এ তৃষ্ণার গভীরে-কতটুকু প্রেম-কতটুকু মোহ
স্বাপ্নীক অস্তিত্ব ভালবাসা
ভালবাসার ভিতরে মানুষ-মানুষের ভেতরে
ভূল মানুষের-নিকশ অন্ধকার।
৫.
ভাসিয়ে নেবে কি আমায়
স্বর্গের কাছাকাছি
দেবে কি খুঁজে-গন্তব্যের
সবুজ মোহনা;
মমতার পেলব শরীরে
দেবে কি
সাজিয়ে জীবনের
অভয়ারণ্য।
৬.
আমি কি আর কোনকিছু
যদি তুমি ভাল না বাসো
সুখ কি তবে কোন কিছু
যদি কাছে না আসো;
সবটুকুই যেন বেদনার রং
যখন পাশে না থাকো।
৭.
তুমি যতটুকু দাও-ততটুকুই
ভোরের আলো
জ্যোৎস্নার মায়া শিশু- বেঁচে থাকার পিপাসা
বাকীটুকু ভূল পথ অন্ধকার
ছায়া বালুচরের ধূ-ধূ মায়া মরীচিকা।
নারায়ণগঞ্জ, ২০০৮ ইং