তোমার হাতে রোপিত মেহগনি গাছের চৌকাঠ
এখন দখিনের দরজায়।
তুমি হীনা আমি, ছয় হাজার দুইশত পাঁচ দিন
আছি আজও অপেক্ষায়।
উঠোনের ঠিক পূর্ব কোণে ছিল যে বকুল গাছটা,
সেখানটায় এখন বাবুর দালান ঘর
কত বকুলের মালা গুঁজেছি খোঁপায়, শীতল পাঁটিতে
তালের পাখায় কেটেছে ভর দুপুর।
এখনো কাটে দুপুর! যন্ত্র চালিত পাখায়, বিশ্বাস করো;
চোখ বন্ধ হয়, প্রশান্তি যোজন যোজন ক্রোশ দুর।
বাঁশের বাঁশি বাজে না আর, থেকে থেকে ধরেছে ঘুন,
তুমি ছাড়া কেবলই সকল বেদনা বিধুর।
চোখেতে জল নেই ব্যথারা জমে জমে পাথর,
তুমিহীনা চাঁদের আলোয় হই না আর বিভোর।
ক্ষয়ে যাওয়া দেয়ালের আস্তর, জঙ্গ ধরা গ্রিল আর সন্ধ্যাতারা
জানে কিভাবে বেঁচে আছি এই সতের বছর।
মনের পড়ে আজও পশ্চিমের বিলে, শাপলা শালুকে
জড়িয়ে থাকা ভালবাসাময় প্রতিটি প্রহর
বুকের পরে মাথা রেখে কেটেছে কত রাত, সাজিয়েছি স্বপ্ন হাজার
তুমি আমি একসাথে দু'জন দু'জনার।
তোমার প্রিয় ছিল গোলাপি রঙ, সেই থেকে অদ্যাবধি
না ছুঁয়েছি গোলাপ না নিয়েছি তার ঘ্রাণ
তোমার চোখ জুড়ে আমি স্বর্গ দেখেছি, আধার করে আমায়
দিয়ে নরকের ফুল, সুখে রা সব ম্লান।
কেমন আছো তুমি? অবস্থান তোমার অজানা, আর আমি!
ঠিকানা বিহীন চিঠি নিয়ে দিকভ্রান্ত ডাকপিয়ন
খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত, তবুও খুঁজে পাওয়ার আশায় আজও প্রহর গুনি
কেটে যাক আরো ছয় হাজার দুইশত পাঁচ দিন।
তবুও সে আসুক,
বিবর্ণ আমার আকাশ রংধনুতে ভাসুক।
তুমি বিহীন বাঁচা বড় ব্যথাময়, সন্ধ্যাতারায় হারিয়ে খুঁজবো তোমায়
ঐ দুর থেকে খুঁজে যদি তোমায় পাওয়া যায়...
হয়তোবা কোন একদিন কেউ দেখবে সন্ধ্যার আকাশে
পাশাপাশি জ্বলছে দু'টি তাঁরা পরম ভালবাসায়।