তোমারও কি আকাশের মতন কান্না পায়?
ভিজিয়ে দিতে ইচ্ছে করে মাঠ-ঘাট, ধানের ক্ষেত,
আকাশ ছোঁয়া ঐ দেব জারুল কিংবা পাহাড়ি ঢাল।
তবে ঝড়ে পড়ো অঝোর ধারায়, আমি দেব জারুল নয়-
ঘাস ফুল হয়ে মিশে যাওয়ার অপেক্ষায়, তোমাতে।
কদমফুল ভিজে, ভিজে যাক ডালিম, কাঁঠালচাঁপা, হাসনাহেনা সাঁঝ বেলা
পূর্ণ চাঁদ মুখ লুকায় অভিমানী মেঘের আড়ালে, পেঁচা'রা ঘুমিয়ে গেলে।
আঁধারের কি ভয় অমাবস্যায়, আলোয় চোখ পুড়ে
আমি আঁধার অথবা অমাবস্যা স্পর্শ করি দু'হাতে।
তুমি পাহাড় হতে চাইলে, নদী হয়ে আমি বুকে ধারণ করি
ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ভেসে ভেসে অনন্তকাল বেঁচে থাকা,
যেখানে স্পর্শ পাওয়াই চূড়ান্ত লক্ষ্য, অন্য হিসেব না হয় বাকি থাক।
তুমি কি রোদ হবে? শরতের শেষ অথবা হেমন্তের শুরুর রোদ
স্যাঁতসেঁতে দেয়ালে রোদ পৌছায় না, ভাঙা ঘরে জোছনা বেমানান।
অমাবস্যার রাতে আমি ঘুমিয়ে গেলে, ডেকো না আর জোছনার জল হয়ে,
কামিনীর গন্ধে নীল হয়ে মিশে যেতে চাই আমি নিকষ আঁধারে।