আজ সেই দিন
যে দিনে তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা।
সেতো অনেক দিন আগের কথা।
সুদীর্ঘ ২৫ বছরের স্মৃতি।
এ ২৫ বছরে পৃথিবীর কত কিছু বদলে গেছে।
স্মৃতির ডায়েরীর পাতায় পাতায় আজ ধূলিকণা।
বদলে গেছে মানুষের আচরণ,
বদলে গেছে ভালবাসার ধরন।
জানো বরুণা আজ আর ভালবাসার জন্য
হয় না দাড়াতে পথের ধারে দিনের পর দিন।
আজকাল বদলে গেছে ভালবাসার সংজ্ঞা,
বদলে গেছে ভালবাসার প্রকাশ।
কেন জানি ভালবাসা আজ পাঠ্য বইয়ের মত মুখস্ত বিষয়।
ইচ্ছে হলে ভালবাসলাম নতুবা ছুড়ে ফেলে দিলাম।
এখন আর রাত জেগে চিঠি লিখতে হয় না,
দূরালাপনি বেজে উঠে ভালবাসার আলাপের জন্য।
ভালবাসা এখন কি রকম যান্ত্রিক হয়ে গেছে।
আচ্ছা বরুণা মনে আছে তোমার,
   সেই প্রথম পরিচয়ের ক্ষণ?
কি বোকা-ই না ছিলাম আমি,
"ভালবাসি বরুণা তোমাকে" এ কথাটি কিছুতেই বলতে পারলাম না।
শেষ পর্যন্ত ভালবাসার কথাটা তুমিই বলেছিলে।
হাত পা গুলো কি রকম কাপছিল আমার,
যেন সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছি দেহের ভিতর।
আমার আজও ভিষণভাবে মনে পড়ে
তোমার সেই হাসি মাখা মুখ খানি।
কি উচ্ছাস, কি প্রাণ উচ্ছাল, আজও আমায় উদাস করে।
মনে পড়ে বরুণা, সেই প্রথম চিঠির কথা?
কি সাহস আমার, না দিতে পেরে তোমায়, দিলাম তোমার বইয়ের মাঝে।
কি লজ্জাময় অবস্থা, স্যার ক্লাসে, চিঠি তার হাতে।
ভাগ্য ছিল ভাল, নাম ছিল না চিঠিতে।
তুমি কিন্তু ঠিকই বুঝেছিলে কাজটি যে আমার।
তারপর কত চিঠি আদান-প্রদান,
দিন যায় দিন আসে, ভালবাসার গভীরতা গভীর।
সে কি ভালবাসা, এক পলক এদিক ওদিক নয়।
এরপর ২৫ বছর কেটে গেল,
   আমি উত্তরমেরু, তুমি দক্ষিণ।
অজানা ঝড়ে সব এলোমেলো।
আজ আবার তোমার সাথে দেখা।
বুকের ভিতরটা হু-হু করে উঠলো।
কি যন্ত্রণা আর কি ব্যথায় কেটেছে ২৫ বছর।
তোমাকে তা বোঝাতে পারবো না।
সামনের পথও কাটবে এমনি করে যতদিন থাকবো বেঁচে, শুধু তোমায় ভেবে ভেবে।

--উৎরাইল, শিবচর, মাদারীপুর
১৬/০৪/২০০৫ইং