হে কোলাহল, তুমি শান্ত হও—
আমি চাঁদ মেখে ঘুমিয়ে যাবো,
জোছনার চাদর জড়িয়ে মিশে যাবো রাতের নিস্তব্ধতায়।
এ শহরের ব্যস্ততা, রঙিন আলোর মায়া,
সব ফেলে রেখে আমি হারিয়ে যাবো নীরবতার গহীনে।
আঁধার, তুমি এত কালো কেন?
তোমার মাঝে কি একটুও স্নিগ্ধতার আলো নেই?
তুমি কি কেবলই শূন্যতা, না কি বেদনাবাহী এক শ্বেতপদ্ম,
যার পাঁপড়ির গভীরে লুকিয়ে আছে না বলা গল্প?
দুঃখ, তুমি এত অসীম কেন?
তোমার কি কোনো শেষ নেই?
নাকি তুমি কেবলই এক প্রবাহমান নদী,
যার গন্তব্য অজানা, যার জল মিশে যায় অতল সাগরে?
আমি যদি ঘুমিয়ে পড়ি,
পূর্নিমার চাঁদের আলো কি আমায় জড়িয়ে ধরবে?
নাকি আমাবস্যার আঁধার এসে ঢেকে দেবে আমার অস্তিত্ব?
পঞ্চমীর রাত কি সত্যিই ভিন্ন,
নাকি সময় কেবলই বিভ্রম—
একটা ক্ষণস্থায়ী মায়ার খেলা,
যেখানে দুঃখ আর আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়?
হে নিশীথ, আমাকে তোমার বুকে আশ্রয় দাও,
আমি ক্লান্ত পথিক,
এই কোলাহলের শহরে একটু নিস্তব্ধতা খুঁজি,
একটু প্রশান্তি, একটু অন্ধকার—
যেখানে দুঃখ আর আনন্দের হিসাব কষতে হয় না,
যেখানে সময় থমকে দাঁড়ায়,
আর আমি হারিয়ে যাই অনন্তের বুকে...