রাত এখন গভীর, হাত আমার জানালার গ্রীলে।
শিন্ শিন্ বইছে সমীরণ, নিশি জাগা পেঁচার ডাক!
কানের খুব কাছে, আকাশে চাঁদ রুপালী।
এমন কত রাত কেটেছে তোমার মৃদ হাসির শব্দে,
অথচ আজ কানে পেঁচার ডাক স্পষ্ট।
গভীর রাত! হাতে কফির মগ, ছিল টুংটাং চুড়ির আওয়াজ,
আজ সিগারেটের নিকোটিনে ফুসফুস ভারী,
আমাদের পৃথিবীতে একা আমি আজ।
কফি আর হয় না খাওয়া কিংবা দাঁড়িয়ে আকাশ দেখা।
দাঁড়াই ঠিকই!
সে আকাশ দেখার জন্য নয়, ঘুমের ঔষধ খাইনি তাই।
জানি না কেমন আছো বা জানতে ইচ্ছেও হয়নি কখনো।
হয়তো বা সুখেই আছো,
সুখে থাকার জন্যই তো তোমার অন্য ভুবনে প্রস্থান।
ছোট্ট একটি কামরা, তুমি আর আমি এবং সুখ, সুখ কতো সুখ।
কতদিন দাঁড়িয়ে হাসনাহেনারা ফুল গুজেছি তোমার খোঁপায়,
অথবা জড়িয়ে তোমায় ছোট্ট চুমো অধরে।
আমি হারিয়ে যেতাম, পাগল হয়েছি কত,
তোমার ঠোঁটের বাঁকানো হাসি আর যাও দুষ্ট স্বরে।
এখন হাসনাহেনা ঘ্রাণ ছড়ায় না,
জমে জমে ভোটকা গন্ধ নাকে, খুব বিশ্রী লাগে।
জানো একসাথে আর জোড়া শালিক দেখি না কতদিন ।
তোমার চলে যাওয়ার পর থেকে, কেবলই আমি একা !
আকাশে চাঁদ দেখি একা, তারাও গুনি একা
যায়না আর কোথাও তোমায় দেখা।
যদিও একসাথে বাঁচার কথা ছিল, একসাথে দু'জন।
কেনো এমন হয়, কেনো এমন হতেই হয়?
মহা সড়কের চার চক্র যান উঠে আসে!
তোমার-আমার ভালবাসার গলি রাস্তায়।
সেই থেকে, দুই ভুবনে দু'জন নেই আর একসাথে।