কেমন কেমন মুখটা যেনো...
চারপাশে তার গোল...
হাসলে পরে দুই গালে তার...
তিনটে পড়ে টোল...
দুই হাতে তার লাল বেগুনী...
আল্পনা সব আঁকা...
চিলতে রোদের চিমটি খেতে...
জানলা থাকে ফাঁকা...
সকালবেলায় চোখদুটো তার...
মানিকতলার মোড়ে...
জমাট বাধা রাস্তা চেপে...
এদিক ওদিক ঘোরে...
ঘুরপাকের এই জটিল ধাধায়...
মুখ ভরা তার হাসি...
হাসির চোটে ভীষণ ব্যথায়...
এরপরে হয় কাশি...
কেবল হাসে, বিরক্ত সব...
মিত্র বাড়ির লোক...
মিত্রবাড়ির নাম বাঁচাতে...
একসাথে সব ঝোঁক...
উঠতে হাসি, বসতে হাসি...
কষ্ট পেলেও হাসে...
কান্না পেলে ফিকফিকিয়ে...
হাসতে গিয়ে কাশে...
হোচট খেলে, দু চোট খেলে...
হাসবে তবু হায়...
রোদ-বৃষ্টি আসুক, হাসি...
মুখ থেকে না যায়...
হায়রে কপাল, এই কারণে...
মিত্র বাড়ির মেয়ে...
সবাই তাকে পাগল বলে...
পাগলামিতে চেয়ে...
যার যেটা ভাই ইচ্ছে করে...
তেমন করেই ডেকো...
সেই মেয়েটার ভেতর আছে...
একটা কষ্টখেকো...
কষ্টখেকো তার জমানো...
কষ্ট খেয়ে বাঁচে...
তাই সে বড় হাসতে পারে...
সূর্যমুখীর ধাচে...
হাসুক না ভাই সেই মেয়েটা...
তুমিও না হয় হাসো...
তোমার হাসির মুখটা তুমি...
কেমন ভালোবাসো?
একটু বলো...