শূন্যস্থানে বুমেরাং আর...
গোধুলী চাপানো সন্ধ্যা...
গোলাপের দেশে, আলুথালু বেশে...
বারোটি রজনীগন্ধা...
বারোটি হোক বা তেরটি হোক তা...
গোলাপের কি বা আসে...
গোলাপের ভয়ে পদ্মফুলেরা...
কুয়োতলা গিয়ে ভাসে...
কবেকার কোন ফুলওয়ালী কবে...
উপাধি দিয়েছে তার...
সেইদিন থেকে গোলাপ সকল...
ফুলেদের জমিদার...
কখানা কয়টা পাপড়ি তাতেই...
গর্বে পড়েনা পা...
বাকিগুলো যেনো অজপাড়াগায়...
বোকাদের পোষা ছা...
কাঁটা ভরা ফুলে, রাণীর দুকূলে...
তেলতেলে এক জগত...
গোলাপ রাজ্যে রাণীকে দেখানো...
ভালবাসা চলে নগদ...
তবু প্রতিরাতে গোলাপ কেন যে...
চুপিচুপি বসে কাঁদে...
চুপিচুপি যেনো কি সব করে সে...
সন্ধ্যাবেলাতে ছাদে...
একদিন তার প্রিয় সঙ্গীনী...
জবা গেলো সব জেনে...
এসব শুনেতো জবা বেলী হেনা...
পারলো না নিতে মেনে...
গোলাপের নাকি খাল বিল ডোবা...
নদী নালা জলা প্রিয়...
'ক্ষান্ত' বানানে প্রত্যেকবারে...
ভুল করে ফেলে 'ক্ষ'...
শাপলা পদ্ম কচুরিপানার...
বেগুনী রঙের ফুল...
কত সুখী তারা, আমার আসলে...
জন্মখানাই ভুল...
গোলাপের এই কথাখানা শুনে...
ভিমড়ি খাবার যোগাড়...
এ যে অগ্রিম সতর্কবাণী...
সর্দি কাশিতে ভোগার...
রজনীগন্ধ্যা বারোখানা ছিল...
এবার কথাটা শুনিস...
এসব কারণে সাতখান বেড়ে...
সেটা দাঁড়িয়েছে উনিশ...
উনিশ বিশের প্রশ্ন তো নয়...
প্রশ্ন অন্যখানে...
গোলাপের কেন জল ভাল লাগে...
একথাটা কে বা জানে...
এটা কি রাণীর ঢং...
নাকি গোলাপের দেশের ভেতরে
লাগলো নতুন রং...