এক বিঘা জমির খুবই প্রয়োজন
বোধ হচ্ছে। একটি সাইনবোর্ড ঝুলাবো
‘দিগন্তে মুঠো জমি বিক্রি নয়;
ক্রয় করা হবে লিখে’।
খুব কষ্টে বেঁচে থাকা এখানে আমার।
নিশ্বাস ছাড়তে হলে ভেতরটাকে ঘুরতে হয়
সাত শহর। যানজট বেঁধে গেলেই
চলে যাবো ওপারের অনুর্ভর ভূমিতে।
দিগন্তে কিছু সমির আছে
আমি যা অনায়েশে নিতে পারি।
যেখানে ধানক্ষেতের আইলে বসে
কদমতলির বকুলিরা শিউলির মালা গাঁথে।
যেখানে কোকিল তোলে সাম্যের সুর।
চাঁদ এসে বলে যায়
সকালের খবর।
যে বাতাসে বারুদের কোনো ধোঁয়া নেই
মিশে আছে মায়েয় হাসি
স্রষ্টার আরাধনা।
যেখানে হাতে হাত রেখে বাঁচতে চায়
শান্তিকামীরা।
লিফটের কোনো প্রয়োজন নেই আমার
একটি দোলনা হলেই হবে।
পারবে তোমরা রঙিন টেলিভিশনের বদলে
একটি রংধনু এনে দিতে?
আমি স্তব্ধ, শান্ত হয়ে যাবো।
এক বিঘা মাটির খুবই প্রয়োজন আমার।
যে গ্রামের বিলে শাপলা ফোটে।
যেখানে কৈরা গোল্লা ছোটে।
যেখানে পার্লার নেই প্রয়োজন
ভাঙ্গা কাচ, চিরুনিতে থাকে খুশি মন।
কৃষকের ছেলেরা যেখানে মিছিল করবে।
আর আমি সেই আলোর মিছিলে
স্লোগান দেবো ‘সাম্য-শান্তি জিন্দাবাদ’
‘সাম্য-শান্তি জিন্দাবাদ’।
কে দেবে আমায় মুঠো জমি?
আমি সবুজ শ্যামলিমার মধ্যে বেঁচে থাকবো।
আনন্দে নিশ্বাস ছেড়ে ঝাঁপ দেবো নদীর বুকে।
আমার চালে খেলা করবে বৃষ্টির কণাগুলি।
শীতল পাটিতে বসে হবে
মহাকাব্য রচানাকাল।
একটু জমি আমাকে দাও
দিগন্ত ছুঁয়ে আমি গড়বো-
সাম্যনীড়, শান্তিনীড়।
04-07-2011