কেউ আছে কি?
পাল্টা হুংকার ছুঁড়ে আকাশের কপালে
আঙ্গুল উঁচিয়ে না বলবে।
কৃষাণীর দেহজোড়া হাসির মালা দিয়ে
আমি বরণ করে নেবো তাকে।

অর্ধাহারে, অনাহারে যাদের
রাত কেটে ভোর হয়
যদি সাইক্লোনে তাদের ভিটেবাড়ির চিহ্নটুকু বিলুপ্ত হয়,
জনহারা কেউ যদি মৃত গাভির লেজ ধরে বেঁচে যায়
তবে কেউ কি আছে, দু’হাঁটু-দু’হাতকে
অন্ধের এক লাঠি বানাবে?
আমি সবুজের হাসিতে সংবর্ধনা জানাবো তাকে।

বুড়ি মা’র কুড়ে ঘরটি যেদিন রাক্ষসী সাইক্লোন
বাতাসের হাতে তুলে দিলো,
মাটির দেয়ালে চাপা পড়লো
ক্ষণিকের জন্মানো নবজাতক,
এক সাইক্লোন লোচনে জন্ম দিলো আরেক সাইক্লোন
বাঁচাও!বাঁচাও ধ্বণিত হয়েছিল জগৎময়।
কেউ ছিল কি সেদিন
দয়ার্দ্র হাতে অশ্রু মুছে দেবার?
আমি বক্ষাচল খুলে দিতাম তাকে।