আজকের বিদায়ে
ঘুণে খাওয়া সমাজকে দিয়ে যাই
অসভ্যতার ক্যানভাস।
তোমাদের ধর্মতলায়
ক্ষীণকায় পথশিশু-
স্থান পায় নর্দমায়।
নাম-ধাম জানা নেই-
শিক্ষার জ্ঞান নেই,
সত্যের প্রাণ নেই।
না পেরে কিছু তুই
গাল দিস ধর্মকেই।
তুই নাকি কবি হস-
না পাওয়ার কথা কস,
সমাজের গোঁড়ামি
ভাঙবি কি হারামি?
তুইও শালা বেইমান
শাসকের কথা কস,
পা চাটা কুকুরের-
না মানলে, মানবি না
কথা তুই বলবি না-
মানুষের কর্মেতে,
ধর্মকে দুষবি না।
কবিতা নয় তা
রস কে রসানো,
প্রেম আর ভালবাসায়
ফুলঝুরি ফোটানো।
শ্রমিকের সাথে চলে,
কথা কস শোষকের।
অভুক্ত কিশোরের -
ক্ষুধা শুধু কাব্যিক চরণে।
কিশোরীর ছেঁড়া যোনি
স্বাধীনতার জয়ধ্বনি
ধর্ষকের হাতে কাঠি
নাড়ছে সে বিচারপতি।
তুই কেন থেমে আছিস,
না লিখে কবিতা-
প্রতিবাদের ভাষা কি
আজ নাই তোর জানা?
নাকি প্রেম নাই এ লেখাতে,
রস - কস বুলবুলি
কোথায় তোর ফুলঝুরি?
কাব্যিক ছন্দে
শোষকের দ্বন্দ্বে
কোথা তুই - কোথা তুই
কবিতায় সাইমুম
তুই আবার ডাক দে।
নাকি তুই বিকে গেছিস
দামি ফ্ল্যাট-গাড়িতে?