মস্তিষ্কের আস্তাবলে এখন আর প্রেমের চাষ হয় না তিলোত্তমা,
শত অভিশাপে গলেপঁচে যাওয়া মগজে আশ্রয় করেছে
ধংসের বিস্ফোরক।
তিলোত্তমা, তোমাদের নামীদামী ইমারত গুলো
দাঁত কেলিয়ে হাসে আমার দারিদ্রে-
তোমাদের মূল্যবান ফ্ল্যাটে ঝুলে থাকে অভুক্তের ক্যানভাস।
তোমরা আফসোস করো,ঘেন্না করো-থুথু ফেলো -
তিলোত্তমা, তোমাদের দামী মটরগাড়ির চাকায় পিষ্ট হওয়া শিউলি ফুলের মালায়
একটু আগেও লেগেছিলো দারিদ্রের গন্ধ। দু'মুঠো ভাতের আকুতি -
গত ফাগুনে যেবার তুমি গোলাপ কাঁটায় আঙুল গাথলে,বললে ভালোবাসো।
কি লালই না ছিলো সেই ভালবাসা, শিউলি গুলোও মরার পর লাল হয়ে গেলো।
ফিনকি দিয়ে বেড়িয়ে এলো লাল ভালবাসা,ভিজিয়ে দিলো গাড়ীর চাকা।
মনের বাগিচায় এখন আর ভালবাসার চাষ করি না তিলোত্তমা,
মৃত ভালবাসার জীবাশ্ম বেঁচে আমি কয়লাখনি চালাই-
বেকারত্বের অভিশাপ - কন্যাদায় গ্রস্থ পিতার করুণ আকুতি
আর ছোট বোনের বায়না, লাগবে যে তার খেলনা।
তিলোত্তমা, তোমার দামী পুতুলের বদলে ছোট্ট বোন টি নিয়ে খেলবে?
বিনিময় দু'মুঠো ভাত তো পাবে-
তিলোত্তমা, হাসছো যে।
ভেবো না একপেশী ভাগ্য আমায় দাবিয়ে দিবে-
নিঃশ্চুপ আছি বলে মৃত ভেবো না, অগ্নুৎপাত নেই তাই শেষ বুঝো না।
সুপ্ত ধংসের স্ফুলিঙ্গ ঘুমিয়ে আছে মগজের শেষ উপশিরায়,
ঘুমিয়ে আছি কয়লার বাঙ্কারে। একে একে পুড়িয়ে দিবো তোমাদের
পুঁজিবাদের শহর সভ্যতা।
তিলোত্তমা, তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখিনি কেনো বলতে পারো?
এক একটা পরমাণু শুষে নিবো তোমাদের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে-
তোমার বুকে বুক পাতি নাই কেনো বলতে পারো?
সম্রাজ্যবাদীদের শত শত ম্যাগজিন আলিঙ্গন করে আমি মেতে উঠবো
ধ্বংসের খেলায়। ভাসিয়ে দিবো জ্বলন্ত ম্যাগমায়-