ত্রিংশ শতাব্দীর কলঙ্কিত বুকে দাড়িয়ে সদর্পে তুমি যখন ঘোষনা করো,
মানবের বিগত শতাব্দির মহানতম অর্জন,
আমি নিরব রই।
শতাব্দির পর শতাব্দি
দলিত, মথিত অচ্ছুৎ মানবদের
আবেগের ওপর দাড়িয়ে তুমি যখন মানবতার গান গাও,
আমি লজ্জায় নত হই।
মহানুভবতার আর্তস্বরে তুমি যখন চাঁদা তোলো মুমূর্ষূ মানবতাকে
আইসিইউতে আরেকটু বেশি সময় ধরে রাখতে,
যখন নিষ্ঠূর শোষণে জর্জরিত তৃতীয় বিশ্বকে, তুমি ভ্রাতৃত্বের ঈশ্বর বাণীতে ভোলাতে চেষ্টা করো,
আমার বড্ড হাসি পায়।
যখন নিজস্ব আলোক বিহীন
পৃথিবী নামক এক মাটির গ্রহে
আমার নিজস্বতাকে, জাতি হিসেবে একেকটি গোষ্ঠীর আত্মপরিচয়কে,
দুমড়ে মুচড়ে ছুড়ে দেয়া হচ্ছে অহরহ।
সুদূর তিন কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বে। তখন,
তখন তোমার আলোকবর্তিকা হাতে এই তৃতীয় বিশ্বের ঘরে ঘরে
আলোক বিতরন দেখে আমি আবেগে শিহরিত হতে পারি না।
তার বদলে আমি কেবলই ক্লান্ত অনুভব করি।
তোমাদের নিরন্তর চৌকষ অভিনয় দেখে। মুখোশের নিরন্তর অভিনয়।
মানবতা, ভ্রাতৃত্ব, প্রেম-এ সবই আজকাল আমার কাছে বড্ড ঠুনকো লাগে হে মানবেশ্বর।
এসবই যেন শোষণের নয়া নয়া হাতিয়ার।
হে অদ্ভুৎ বিশ্বব্যবস্থা!
ভালোবাসার নামে নির্যাতন এবার থামাও।
আমাদেরকে আমাদের নিজস্ব অন্ধকারেই বাঁচতে দাও।