রাত্রির হ্যাঙারে, ঝুলে আছে এক ফালি চাঁদ,
রাতের আলেয়া যেন, পেতে রাখে রূপমাখা ফাঁদ।
খুনে চাঁদ, বাড়ে রাত, চাঁদোয়ার মায়া ঢালে ওই,
নিশী রাত, বুনো চাঁদ, অম্বরে আড়ি পাতে কই?
বাড়িয়েছ হাত যদি, পুড়ে যাবে ও রূপের তাপে,
পূর্নিমা রাতে, অভিসারি মন শুধু দুরু দুরু কাঁপে।
নির্ঘুম জোনাকি, জোৎস্নাতে একাকী, আলো জ্বালে রাতের ইজেলে,
বোকা বাঁশি বাজে কই, ঘরে একা পড়ে রই, ঝিঁঝি ডাকা রাতের করালে।
কাছে ডাকে কালো রাত, বাড়িয়ে আদুল হাত, ভীরু স্বরে কোন হাতছানি?
পায়ে পায়ে বাঁধা ভয়, বেঁচে থাকার অভিনয়, রুদ্ধ দ্বারের ছিটকিনি।
রাত কুহকিনী হায়, কাছে ডাকে অসময়, সাড়া দিতে চায় ভীরু মন,
ভুলে পড়ে ভাবে মন, ভ্রমিয়াছে তণুমন, চোরা স্রোতে টানে অনুক্ষণ।
পড়ল কি মনে তাই, সময় খাতায় ঠাই, মিলবে কি মিলবে না জানি,
হিসেবের গরমিল, সুরের অন্ত্যমিল, দিকে দিকে তারই কানাকানি।
রাত যায়, দিন যায়, জীবন শয়ানে ধায়, পিছু ফিরে হয়নি তা দেখা,
ছিল কিছু আপনার, হারিয়েছে সবই তার, জীবন চলেছে আজও একা।
পথ হবে কবে শেষ, জীবনের অবশেষ, ফুরোবে সবার পথ চলা,
যা কিছু ছিল বলার, অথবা পথ চলার, রয়ে যায় বিদায়ের বেলা।
সময় নিরবে বয়, গল্প ফুরিয়ে যায়, জীবন সায়াহ্নে ভেড়ে তরী,
কত কি বলার ছিল, কত কি করার, তীরে বসে সে কথাই স্মরি।
কত কি যাবে রয়ে, কত কি গেল সয়ে, প্রাপ্তির খাতা রয় খালি,
শূন্যতা কিছু ছিল, পূর্নতা নাই হল, গল্পের খাতা রেখো তুলি।