আলমারির ন্যাপথালীন গন্ধের কুঠুরীতে
কোনো খদ্দরের পাঞ্জাবী নেই।
’উপযুক্ত’ সময়ে প্রকাশনার মতো একখানা
বহুমূল্য পান্ডূলিপিও নেই।
আর নেই, পশ্চিমের রোদ বারান্দায় একচিলতে রোদ।
ওধারটাতে শুধুই বুনো ভাট ফুলের জঙ্গলের দৃশ্য।
যাই না ওধারে। হয়তো কচিত, কখনো।
আমি আমার নোনাধরা উত্তরের গৃহে
পুরোনো তক্তোপোষে উদাস বসে
সময়ের ক্রমাগত বয়ে চলা উপভোগ করি।
নির্লিপ্ত প্রগাঢ় সুখে। তাকে করি হৃদয়ঙ্গম।
আমার ঝ্যালঝেলে পাঞ্চাবীটার বুক পকেটে পুরোনো প্রেমিকার
মলিন প্রেমপত্র পড়ে নেই।
বাউন্ডূলে আলুথালু বেশ কবিদের বুক পকেটে
প্রেমিকার আদর নয়, পড়ে থাকে নির্জীব
তিনটি ন্যাতানো নোট, অচল আনির মতো।
কী এক অদ্ভূৎ আচ্ছন্নতায় কুন্ঠার বেড়ি পড়ানো
বোবা কালা জীবনে সুর আসেনা
কোনো ক্ষুদ্র রন্ধ্র দিয়েও।
এখানে আলো নেই।
সুর নেই।
প্রেমিকার ওষ্ঠাধরের লাস্যময়ী হাসি নেই।
নেই কোনো হঠাৎ অহেতুক ছন্দপতন।
কেবলই নেই, নেই আর নেই।
আছে শুধু, রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিবশ যন্ত্রণা অসহ্য।
ছিল কেউ.........কোনো এক কালে
তারে হারায়েছি সযত্ন অবহেলায়।
বিন্দু বিন্দু উদাসীনতায়,
নির্লিপ্ততার ক্ষুদ্র আঘাতে, তারে বিদ্ধ করেছি
ইস্রাফিলের ক্রূদ্ধ ইর্ষার শরে।
ফিরে আর আসেনি সে।
স্মৃতির মরা গাঙে বান ডাকে,
যৌবন খেলে তার গতরে।
তবু সে স্মরেনি মোরে, ক্ষণিকেরও তরে।