রাতের সবশেষ তারাটা নিভে যাবারও একটু পরে,
বিশ্ব চরাচরে যখন গাঢ় অন্ধকার নামে,
তখন,
আলগোছে দুয়ার খুলে বের হই, চুপি চুপি।
আঁধারের নিশাচর দূতের নিরব আমন্ত্রণে।
শীতল রক্ত সরীসৃপের মতো, কফিনের হিমশীতল কোটরের নিশ্চলতায়,
আশ্চর্য দ্রুততায়।
রহস্যের জমকালো চাদরে মুড়ে, নিজেকে হেঁচড়ে পথে নামাই।
দুঃস্বপ্নের কিলবিলে মথগুলোকে সহ্যতার ভারী পর্দা মুড়ে দিয়ে,
বুক ভরে নিয়ে নিই একরাশ টাটকা কষ্ট।
তখন,
নখরহীন আঙুলে ভর করে, অন্ধকারের দেবতা,
চুপি চুপি পিছু নেয়।
বেড়ালের জ্বলজ্বলে নিশি দৃষ্টিতেও,
তাকে দেখি না,
তাকে শুনি না।
কেবল অনুভব করি তার অশরীরি অস্তিত্ব।
আশপাশে। ঘাড়ে পড়ে তার হিমশীতল বরফ নিঃশ্বাস।
বোহেমিয়ান নাগরিকতাকে অস্বীকার করে,
আলো আঁধারের চরিত্রহীন লুকোচুরিতে,
কত কি,
কত কিছু হাতড়ে বেড়ায়, লোমশ স্বার্থের শুঁয়োপোকা।
ছন্নছাড়া রাতের শহর,
ফুটপাতের অন্ধকার ও পাড়ে, ঠায় বসে,
আততায়ীর মতো অনন্ত অপেক্ষায়।
ফিনিক ফোটা কৃত্রিম জোৎস্না নামায় হলুদ নিয়ন।
নগরের সবটুকু প্রাণ গিলে খায় রাতের নির্জন।
তখন নগ্নপদ আমি পথে নামি।
নগরের উদোম সাদা আলোয়, মৃত স্বপ্নের আলুথালু রূপ।
পথ চলে আঁধারের অস্পৃশ্য মানব।