রাত ৮ টা ১৮ মিনিট।
আট আনার জীবনে অষ্ট্রপ্র্রহর দু’জনে দু’জনায়,
আটপৌড়ে জীবনের স্বপ্ন সাজাই, জায়া ও পতি।
যথারীতি তোমার হাতে রিমোট আর আমার কীবোর্ড
লেখার ফাঁকে দেখলাম তোমাকে।
চুল বাঁধছ, হাতে চুলের কাঁটা। মাত্র গত সপ্তাহে উপহার দেয়া।
জীবন বড্ড কায়ক্লেশে কাটে সেই কবে থেকে।
জিঘাংসার জন্মও তখনি।
রাত্রি ১০টা বেঁজে তেপ্পান্ন।
দশভূজা দেবী পূজিত হলেও
১০ বছরের সংসার খুব স্বস্তির হবার নয়।
বিশ্রী রকম নাক ডাঁকে তোমার
তবে ওটা আমার জিঘাংসাবৃত্তি জেগে ওঠার কারণ নয়।
তুমি বাঁশিওয়ালা হলেও ছিল না তোমার রেহাই।
যে কোনো অযুহাতেই যেতে হত তোমাকে।
কী আরাম করে ঘুমাচ্ছ তুমি!
আমি আরেকটু মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষায়।
রাত ১ টা, প্রথম নাকি দ্বিতীয় প্রহর হল?
একা একাই প্লান করেছি।
একক প্রচেষ্টায় বাস্তবায়নযোগ্য একটি নিশ্ছিদ্র পরিকল্পনা
রাতের নিশূতি গিলে খায় চতুর্দশী শশী
একটা পেঁচা ডাকল কাছে পিঠে।
আমার নজর তোমার দুধ সাদা পিঠে।
শুভ্রতার মাঝে শুধু একটি কালো তিল।
কিঞ্চিৎ মোহ জাগালো কি? নড়ে উঠল কি বিশ্বাসের ভীত?
রাত সোয়া ৩ টার ঘন্টা বাজল।
তিনটি বছর ধরে জলন্ত হুতাশনে পুড়ছি
৩রা চৈত্রের নিদাঘ আকাশ
জ্বলে পুড়ে খাক, প্রেম নিপাত যাক
আমি প্রস্তুত হলাম। সমস্ত পিছুটান ঝেড়ে ফেলে।
তোমাকে যেতে হবে সরে।
বাঁচাবে তুমি মোরে, নিজে মরে।
শেষ মুহূর্তেও বেড়ালের মতো কুঁকড়ে ঘুমাচ্ছিলে।
মৃদু আর্তনাদ ছাড়া কোনো ঝামেলা আর
বাঁধা হয়নি কার্যসিদ্ধিতে।
ওই বোধহয় ভোর ৫ টায় গড়াল রাত।
পঞ্চবারের ইবাদতের প্রথম আহবান
ধ্বনিত হচ্ছে মসজিদের মিনারে।
গীর্জার ঘন্টায় ঢং ঢং।
ভোর হচ্ছে। নাগরিক সমাজের রোজকার নিয়মে।
সূর্যদেব জাগ্রত হলেন তমসার বুক চিরে।
এই আটপৌড়ে নিশাবসানে
শুধু একটি মানুষের ঘুম ভাঙবে না।
বাড়াতে তার মরদের গোপন বেদনা।
অহংবোধে ধরাবে না মৃদু চিড়।
পোড়াকপালী নারী,
মরন যার মুক্তি গাঙের তীর।