তাকে নিয়ে মিছে আর করো না বিলাপ,
যে চলে গেছে, দৃষ্টিসীমার আড়ালে।
নিরব অভিমানে, ভাবনার অন্তরালে।
তাকে একাকী থাকতে দাও,
যাকে সবাই একা করেছ, নিঃস্ব করেছ পরম যতনে।
নিষ্ঠূরতম আঘাতে।
ক্ষয়ে যেতে দাও, ঝরে যেতে-দাও তাকে।
বিদায়ী আলিঙ্গন হয়ে গেছে যার,
তাকে নিঃসঙ্গ মরতে দাও।
তাকে বিস্মৃত হতে দাও, সময়ের গর্ভে,
যাকে সবাই ভুলেছ অবলীলায়-সাবলিল, সাগ্রহ উপেক্ষায়।
বিন্দু বিন্দু অবহেলায়, পরম অনাগ্রহের আঘাতে,
যে মানুষটিকে একদিন ঠেলে দিয়েছ,
জীর্ণ জীবনের অন্ধকার কোঠায়,
তাকে নিয়ে আজ এই অসময়ে আর লিখো না,
তাকে ঢেকে দাও, বিস্মৃতির ধূসর মায়ায়।
তাকে একা রেখে দাও, তাকে ভুলে যাও।
নিঃস্ব, রিক্ত, একাকী মানুষটির স্মৃতিটুকুকে অন্তত,
তোমাদের নিষ্ঠূর অভিনয় হতে মুক্তি দাও।
তাকে একা থাকতে দাও।
জানো তো,
একাকীত্বের কোনো রং নেই, নেই কোনো নিজস্ব ঠিকানা,
একাকীত্ব এক নিরব ঘূনপোকা,
পরাশ্রয়ী স্বপ্নের মতো তার বাস।
মৃত স্বপ্নের কোটরে, নিস্ফলতার মৃত জঠরে,
একাকীত্ব এক ঝরে পড়া পাতার দীর্ঘশ্বাস।
নিরবে নিভৃতে বয়ে চলা তার, পতনের ঐকান্তিক যাতনায়।
তাই বন্ধু,
নতুন করে রচনা করো না কোনো এপিটাফ।
গড়ে তুলো না মিছে শোক গাঁথার আশ্বাস।
তাকে হারাতে দাও সঙ্গোপনে। অনুচ্চারিত শোকে।
অব্যক্ত মোহময়তায়।
অনাহুত সময়ের মতো,
তাকে ভুলে যাও।
তাকে ভুলে যেতে দাও।