আমাকে তুমি খুঁজেছ হে পূর্ণময়ী,
অযুত বর্ষ ধরে,
ক্যালেন্ডারের পুরোনো পাতায় পাতায়,
রদ্দি পত্রিকার ধুলো পড়া ভাঁজে,
আমাকে খুঁজেছ প্রাগৈতিহাসিক সময়ের বিশুষ্ক খাঁজে।
কখনো আবার তোরঙ্গে রাখা জীর্ন কাঁথায়।
চাপা কিছু কান্না জড়ানো মায়ায়।
আমাকে খুঁজে বেড়িয়েছ,
নগরের পিচ ঢালা পথের ধাঁধাঁয়।
স্বার্থান্ধ এ নগরে। মোহময় বাস্তবতার ফাঁকে।
ঠিক যেমন দিগন্ত রেখা স্বপ্ন খোঁজে নিয়ত অস্তরাগে।
মন প্রাণ দিয়ে খুঁজেছ, খুঁজেছ মোহময় ছলনায়।
নিস্ফল রোদনে, ফিরেছ আপন বৃত্তে।
আমাকে খুঁজে পাওনি, পাবে না মাঘের একাকীত্বে।
অথচ আমি আছি, আমি ছিলাম,
আমি থাকব সারাক্ষণ।
তোমার চারপাশে। তোমাকে জড়িয়ে।
শীতে আরাধ্য উষ্ণতার মতো,
তোমার পুরো অস্তিত্ব নাড়িয়ে।
কিংবা তোমার চিরাচরিত পথের আল্পনায়।
তোমার ওই শীতল চোখের কালোতে নয়,
নগরের দূষিত প্রেমে দুষ্ট,
তোমার চোখের পার্থিব দৃষ্টিতেও নয়।
আমায় খুঁজে নিও প্রগাঢ় কল্পনায়।