জানো,
মেয়েটির কোন দোষ ছিল না।
শুধু ছিল রূপের লাবণ্যতা আর যৌবন
ছিল লাগামহীন স্বপ্নের আকাশ
বুক ভরা ভালবাসা আর আবেগি উষ্ণতা।
এক শীত শীত রাতে বন্ধুর সাথে সিনেমা শেষে
দক্ষিণ দিল্লি হয়ে বাড়ি ফেরার পথে....
একদল কামসন্ত্রাস ঝাঁপিয়ে পড়ল মেয়েটির উপর,
ওর মোলায়েম শরীর খুবলে নিলো দস্যুরা
ওর গাল, ঠোঁট, বাহুমূল, স্তন আর যাকিছু আছে;
বাকী যায় কেন কোন অঙ্গই?
বন্য হিংস্র জানোয়ারদের ন্যায়। ত্রস্ত চোখে অশ্রুরা উধাও।
তারপর মৃত্যুপুরে পাঠানোর নীলনকশার কবলে নির্ভয়া।
তেরোদিনের জীবন যুদ্ধে হার মানতেই হলো দামিনীকে।
এ খবরে বিশ্বজুড়ে উপচে পড়ল উত্তপ্ত প্রতিবাদী ঢেউ
দেশের কোণে কোণে উড়ল কালো পতাকা!
পুড়ল অজস্র মোমবাতি। মানব বন্ধব আর মৌন মিছিল।
জানিনা এসবের কোন প্রয়োজন ছিল কিনা?
হয়তোবা শুধুই নিয়ম রক্ষার তাগিদে কিংবা দায় সারতে
যাইহোক তবুও তো একটা কিছু হলো.....
দামিনী তুমি ভাল থেকো যেখানেই আছো,
তবে সঙ্গী খুঁজোনা প্লীজ, আমরা মুক্তি চাই এ যন্ত্রণা থেকে,
তোমার ঐ আর্ত চিৎকার কারো কণ্ঠে শুনতে চাইনা আর।
দামিনী তুমি আর নতুন সস্তা খবর হতে যেওনা
তুমি নাহয় নির্ভয়া হয়েই একা থেকো, ভাল থেকো। যেখানে আছো।
রচনা--- ৩০/১২/২০১৪ইং
© জুয়েল।